কান চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছিল তাঁর সিনেমা। সমালোচকদের পুরস্কারও পেয়েছেন। কিন্তু সেই সিনেমার পরিচালক ও প্রযোজককে ছয়মাসের জন্য জেলে পাঠাল ইরানের প্রশাসন। কারণ ইসলামি ব্যবস্থার বিরোধিতার ‘প্রোপাগান্ডা’ ছড়িয়েছে এই ছবি। প্রসঙ্গত, গত বছর মুক্তি পেয়েছিল লেইলা’স ব্রাদার্স নামে এই ছবিটি। কিন্তু মুক্তি পাওয়ার পরেই গোটা দেশে নিষিদ্ধ হয় লেইলা’স ব্রাদার্স।
ইরানের রাজধানী তেহরানে সাংঘাতিক অর্থকষ্টের মধ্যে একটি পরিবার জীবনযাপন করে, সেই ছবি তুলে ধরা হয়েছে এই সিনেমায়। সইদ রুস্তাই নামে এক পরিচালকের ছবিটি ২০২২ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে মনোনীত হয়। সমালোচকদের মতামতের ভিত্তিতে একটি পুরস্কারও জেতে এই ছবি। কিন্তু ছবির বিষয়বস্তুকে একেবারেই ভালো চোখেনি ইরানের প্রশাসন। গোটা দেশে ছবিটি নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু আন্তর্জাতিক মহলে দেখানো হয় লেইলা’স ব্রাদার্স।
এহেন পরিস্থিতিতে ছবির পরিচালক রুস্তাই ও প্রযোজক জাভাদ নরুজবেগির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ আনে ইরানের প্রশাসন। রাষ্ট্রের অনুমতি না নিয়েই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ছবি দেখানোর অভিযোগ রয়েছে দু’জনের বিরুদ্ধে। তাছাড়াও দেশের মন্ত্রকের সুপারিশ অনুযায়ী ছবিতে কাটছাঁট করেননি ছবির পরিচালক। এই ছবিতে ইসলাম বিরোধী প্রোপাগান্ডা ছড়ানোরও অভিযোগেই দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন পরিচালক ও প্রযোজক।
বুধবারই জানা যায়, ইসলাম বিরোধী আচরণের শাস্তি হিসাবে ছয়মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে দু’জনকে। তবে এই শাস্তির পুরো মেয়াদ গারদের ভিতরে থাকতে হবে না তাঁদের। আপাতত ন’দিনের জন্য তাঁদের জেলে পাঠানো হবে। তারপর পাঁচ বছরের জন্য সাসপেন্ড থাকবেন তাঁরা। সেই সময়ের মধ্যে ফিল্মমেকিং নিয়ে বিশেষ কোর্স করতে হবে তাঁদের। দেশের ঐতিহ্য বজায় রেখে ছবি বানানো শিখতে হবে। এছাড়াও অন্য কোনও পরিচালক বা প্রযোজকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন না তাঁরা।