ভারতীয় ফুটবলের সিংহ। কলকাতা ময়দানের ‘বড়ে মিঁঞা’ মহম্মদ হাবিব প্রয়াত। ৭৪ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন তিন প্রধানে খেলা এই কিংবদন্তি ফুটবলার। আজ বিকেল সাড়ে ৪টেয় হায়দরাবাদে নিজের বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। তিন প্রধানে দাপিয়ে খেলেছেন। জাতীয় দলের জার্সিতেও রয়েছে সাফল্য। দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। সুভাষ বলতেন, বড়ে মিঁঞা, এই ডার্বিতে অন্তত একটা পাস বাড়িও, গোলের খরা কাটাতে চাই। বড় ম্যাচে তিনি যেন শ্রীকৃষ্ণর ভূমিকায় থাকতেন। ড্রেসিং রুমে সকলেই তাঁকে আগে খুঁজতেন। সে শ্যাম থাপাই হোক বা সুভাষ ভৌমিক। তাঁর কাছে একটা পাসের আর্জি জানিয়ে রাখতেন। সুভাষ-শ্যামরা জানতেন ওই একটা পাসেই আবারও ডার্বির নায়ক হয়ে উঠতে পারবেন। মহম্মদ হাবিব শুধু গেম মেকার নন, ছিলেন দুই প্রধানের স্টার-মেকারও। সাতের দশকে যখন যে জার্সি পরেছেন, সেই টিম সাফল্য পেয়েছেন। প্রদীপ ব্যানার্জি, অরুণ ঘোষ হোন আর অমল দত্ত, কী রহিম সাহেব সাফল্যের চাবিকাঠি হিসেবে মহম্মদ হাবিবকেই বরাবর তালুবন্দী রাখতে চাইতেন। লো-প্রোফাইলে থাকা, ভীষণ মুডি, সেই তিনিই আবার সবুজ মাঠের রাজা। এমন অনেক কঠিন ম্যাচ সতীর্থরা যেখানে চাপে থাকতেন, হাবিব বলতেন ‘ম্যায়দান মে চলো, ওহি দেখ লেঙ্গে।’ অনেক সময় চোট পরোয়া না করেও, হেলায় বিপক্ষকে হারাতেন। সাতের দশকে দলবদলে হাবিব ছিলেন অন্যতম লক্ষ্য। ময়দানের এই কিংবদন্তি ফুটবলার কোচ হিসেবে ততটা সফল নন। তিন প্রধানে দাপিয়ে খেলেছেন। তেমনই হাবিব বেশ কয়েক বার মহমেডানের কোচ হয়েছেন।