কেন ব়্যাগিং সংক্রান্ত নির্দেশ অমান্য! যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়কে শো-কজ শিশু সুরক্ষা কমিশনের

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রের মৃত্যুর ঘটনায় ছাত্রের বয়স ১৮-এর কম জানিয়ে হস্তক্ষেপ করেছে রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশন। রবিবারই মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পশ্চিমবঙ্গ শিশু সুরক্ষা কমিশনের উপদেষ্টা অনন্যা চক্রবর্তী প্রশ্ন তুলেছিলেন, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসি ক্যামেরা নেই কেন? সেটা কি অন্য কোনও গ্রহ?
û সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে র‌্যাগিং সংক্রান্ত নির্দেশাবলি অমান্য করার কারণ দর্শাতে বলল শিশু সুরক্ষা কমিশন। অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্ট র‌্যাগিং সংক্রান্ত যে নির্দেশ দিয়েছিল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে তা অমান্য করা হয়েছে। র‌্যাগিং নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)-এর নির্দেশিকাও মানা হয়নি। দু’দিনের মধ্যে যাদবপুরকে জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রবিবার মৃত ছাত্রের বয়স ১৮ না হওয়ায় তাঁর নাম প্রকাশ না করার অনুরোধও করেছিলেন অনন্যা। জানিয়েছিলেন, ছাত্রের উপর যৌন হেনস্থা হয়েছে বলেই স¨েহ। সেক্ষেত্রে ফলে এটি পকসো আইনের অধীনে পড়ে।
পাশাপাশি রাজ্য শিশু সুরক্ষা কমিশনের তরফে যাদবপুরের ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি জানতে চেয়ে রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য সিভি আনন্দ বোসের কাছেও রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। কমিশন রিপোর্ট চেয়ে চিঠি দিয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলকেও।
ইউজিসি নির্দিষ্ট র‌্যাগিং-বিরোধী নিয়মাবলি যাদবপুর-সহ ইউজিসি অনুমোদিত কোনও বিশ্ববিদ্যালয়েই মানা হয় না, এই মর্মে সোমবারেই কলকাতা হাই কোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। আবার একইসঙ্গে যাদবপুরের ঘটনায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 5 =