ইন্ডিয়ান সুপার লিগের অন্যতম শক্তিশালী দল কেরালা ব্লাস্টার্স। ডুরান্ড কাপে শনিবার সন্ধ্যায় ছিল কলকাতা ডার্বি। অনবদ্য জয় ছিনিয়ে নিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। আজ মোহনবাগান মাঠে হল কেরালা ডার্বি। এই ম্যাচে বিশেষ নজর ছিল কেরালা ব্লাস্টার্সের দুই বাঙালি ফুটবলার প্রীতম কোটাল ও প্রবীর দাসের দিকে। বিশেষ করে বলতে হয় প্রীতম কোটালের কথা। সব কিছু ঠিক থাকলে তাঁকে শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে কলকাতা ডার্বিতে নামতে দেখা যেত। যদিও কেরালা ব্লাস্টার্স থেকে সাহাল আব্দুল সামাদকে সই করিয়েছে মোহনবাগান। সে কারণেই ছেড়ে দিয়েছে প্রীতম কোটালকে। নতুন দলের হয়ে প্রথম ডার্বি সুখকর হল না প্রীতমের। ডুরান্ড কাপে মোহনবাগান মাঠে নেমেছিল কেরালা ব্লাস্টার্স ও গোকুলম কেরালা। মোহনবাগান মাঠে কেরালা ডার্বিতে হার আইএসএলের শক্তিশালী দল ব্লাস্টার্সের। শুরু থেকেই খেলেছেন মোহনবাগানের দুই প্রাক্তনী প্রীতম ও প্রবীর। যদিও সতীর্থদের সহযোগিতা পেলেন না। ম্যাচের ১৭ মিনিটে বৌবা আমিনুর গোলে এগিয়ে যায় গোকুলম কেরালা। দ্রুতই সমতা ফেরায় কেরালা ব্লাস্টার্স। ৩৪ মিনিটে সমতা ফেরান এমানুয়েল জাস্টিন। প্রথমার্ধের শেষ দিকে জোড়া গোল। ৪৩ মিনিটে গোকুলমকে এগিয়ে দেন শ্রীকুত্তন। প্রথমার্ধের অ্যাডেড টাইমে স্কোর লাইন গোকুলমের পক্ষে ৩-১ হয়। তৃতীয় গোলটি নাওচার আত্মঘাতী। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ফের লিড নেয় গোকুলম কেরালা। ৪-১ গোলে এগিয়ে যায় গোকুলম। এরপরই অনবদ্য প্রত্যাবর্তন কেরালা ব্লাস্টার্সের। তাদের হয়ে গোল শোধ প্রবীর দাসের। ৫৪ মিনিটে গোলটি করেন প্রবীর। ৭৭ মিনিটে আরও একটি গোল শোধ করে কেরালা ব্লাস্টার্স। লুনার গোলে স্কোরলাইন ৩-৪ হয়। ম্যাচের তখনও অনেক সময় বাকি। মনে হয়েছিল কেরালা ব্লাস্টার্স হয়তো এখান থেকেও ঘুরে দাঁড়াতে পারে। সুযোগ তৈরি হলেও স্কোরলাইনে বদল হয়নি। ‘ঘরের মাঠে’ গোল করেও জেতা হল না প্রবীরের। তেমনই মোহনবাগানের ঘরের ছেলে, যিনি বেশ কিছু ডার্বি জিতেছেন, কেরালা ব্লাস্টার্সের হয়ে প্রথম ডার্বিতেই হার। ম্যাচে গুরুতর চোটও পান প্রীতম।