নিজস্ব প্রতিবেদন, বুদবুদ: গত বুধবার থেকে বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমে যেমন পঞ্চায়েতের সম্ভাব্য প্রধান ও উপপ্রধানের একটি লিস্ট ছড়িয়ে পড়ে। ঠিক একই ভাবে বিভিন্ন পঞ্চায়েত সমিতির সম্ভাব্য সভাপতি ও সহকারী সভাপতির নামের একটি লিস্ট যা তৃণমূলের জেলা কার্যালয় থেকে পাঠানো হয়েছিল, তা বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর সম্প্রচারিত হয়। তা সত্ত্বেও শুক্রবার গলসি ১ নম্বর ব্লকের বিডিও অফিসে পুলিশের কড়া প্রহরায় যখন পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠনের কাজ শুরু হয়, তখন দেখা যায় অন্য এক চিত্র। বিডিও অফিসের আধিকারিকদের উপস্থিতিতে বোর্ড গঠনের কাজ শুরু হলে লিস্টে নাম থাকা সভাপতি পদপ্রার্থী আলপনা বাগদিকে ২৭ জন জয়ী প্রার্থী সমর্থন করেন। কিন্তু সমস্যার শুরু হয় সহকারী সভাপতি পদে দোলন দত্তকে সমর্থন করা নিয়ে। ১৯ জন জয়ী সদস্য সদস্যা দোলন দত্তের বদলে অনুপ চট্টোপাধ্যায়কে সহকারী সভাপতি পদে সমর্থন করেন। অবশেষে ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে ১৯-৮ ব্যবধানে জিতে গলসি ১ নম্বর ব্লকের পঞ্চায়েত সমিতির সহকারী সভাপতি পদে নিযুক্ত হন অনুপবাবু।
বোর্ড গঠন সেরে বেরোনোর সময় সহকারী সভাপতির লিস্টে নাম থাকা দোলন দত্ত দাবি করেন, ভোটাভুটির সময় তৃণমূলের গলসি ১ নম্বর ব্লকের যুব ও মহিলা সভাপতি দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে অনুপবাবুকে সমর্থন করেন, একই সঙ্গে শক্তি প্রদর্শন করে সকলকে ধমকে চমকে ভয় দেখিয়ে অনুপবাবুকে সহকারী সভাপতি পদে নিযুক্ত করেন। এ বিষয়ে গলসি ১ নং ব্লকের যুব সভাপতি পার্থ মণ্ডল ও মহিলা সভাপতি ঝরনা দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। যদিও তাঁদের কাছ থেকে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি ।
তবে এদিকে ওই ১৯ জন জয়ী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য সদস্যা ও কর্মী সমর্থকদের মধ্যে বাধনহারা উচ্ছ্বাস দেখা যায় তাঁদের পছন্দের জয়ী প্রার্থী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহকারী সভাপতি হওয়ায়। সবুজ আবির মেখে বাজনা বাজিয়ে দলীয় নেতৃত্বের নামে স্লোগান দিয়ে তাঁরা জয়ী প্রার্থীদের নিয়ে মিছিল করে বিডিও অফিস থেকে স্থানীয় দলীয় কার্যালয়ে যান। উল্লেখ্য, এই ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির মোট সিট ২৭টি, যার মধ্যে তৃণমূলের দখলে ছিল ২৬টি ও সিপিএমের দখলে ১টি।