টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের সাত বছর পর নিজেদের জন্য নজির গড়ল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতকে টানা দু-ম্যাচে হারাচ্ছে! টি-টোয়েন্টিতে এই দৃশ্য ২০১৬ সালে শেষবার দেখেছিলেন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট প্রেমীরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টি-টোয়েন্টি সিরিজে দ্বিতীয় ম্যাচেও হতাশা ভারতীয় শিবিরে। মূলত ব্যাটিং বিপর্যয়ই এর কারণ। বোলারদের সৌজন্যে রুদ্ধশ্বাস পরিস্থিতি তৈরি হয়। নিকোলাস পুরানের অনবদ্য ব্যাটিং, লোয়ার অর্ডারের অনবদ্য অবদান। ভারতকে ২ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে ২-০ এগিয়ে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ভারতীয় ব্যাটিংয়ে ঠিক যেন গত ম্যাচের পুনরাবৃত্তি। টপ অর্ডার ফের ভরসা দিতে ব্যর্থ। শুভমন গিল ৯ বলে ৭, সূর্যকুমার যাদব ডিরেক্ট থ্রোয়ে রান আউট। তিন বলে ১ রান স্কাইয়ের। ঈশান কিষাণ ২৩ বলে ২৭ রান করেন। টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। যদিও পরিস্থিতি আগের ম্যাচের মতো একই দিকে গড়ায়। ফের কিছুটা ভরসা দিলেন তরুণ মিডল অর্ডার ব্যাটার তিলক ভার্মা। কেরিয়ারের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে নেমেছিলেন। পরিণত ব্যাটিং করেন। দেশের হয়ে প্রথম হাফসেঞ্চুরি এল ৩৯ বলে। তার দু-বল পরই অবশ্য ফিরলেন। ৪১ বলে ৫১ রানে ফেরেন তিলক। ৫টি বাউন্ডারি এবং ১টি ওভার বাউন্ডারি মারেন। গত ম্যাচে ১৫০ রান তাড়া করে হেরেছিল ভারত। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ১৫০ অবধি পৌঁছনোই কঠিন হয়ে পড়ে। হার্দিক পান্ডিয়া ২৪, অক্ষর প্যাটেল ১৪ রানে ফেরেন। শেষ অবধি রবি বিষ্ণোইয়ের ৪ বলে ৮ এবং অর্শদীপের ৩ বলে ৬ রানের সৌজন্যে কোনওরকমে ১৫২-৭ স্কোরে পৌঁছয় ভারত। এই রান নিয়েও জয়ের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন হার্দিক পান্ডিয়া। প্রথম ওভারে ২ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন অধিনায়ক হার্দিক। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তৃতীয় বার প্রথম ওভারেই জোড়া উইকেট হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু ভারতের চাপ বাড়ান নিকোলাস পুরান। ৪০ বলে ৬৭ রান করেন নিকোলাস। তিনি যখন আউট হন, ৩৬ বলে ২৭ রান প্রয়োজন ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কিন্তু ১৬তম ওভারে রোমারিও শেপার্ডের রান আউট, জেসন হোল্ডার স্টাম্প আউট, ভারতকে ম্যাচে ফেরান। ২ ওভারে ১৭ রান দিয়েছিলেন। ১৬তম ওভারে চাহাল দিলেন মাত্র ১ রান। তাঁর নিজের নামে ২টো উইকেট, সঙ্গে একটি রান আউট। রুদ্ধশ্বাস হয়ে দাঁড়ায় শেষ ৪ ওভার। প্রয়োজন ২৪ রান। ভারতের দরকার ছিল ২টি উইকেট। ক্রমশ ম্যাচে চড়াই উতরাই। ১৯তম ওভারে আলজারি জোসেফ ৬ মারতেই পরিস্থিতি ফের ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে। ৭ বল বাকি থাকতেই জয়ের লক্ষ্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ২ উইকেটের জয়ে নজির।