ক্রিকেটে যেমন ‘ধরো ক্যাচ, জেতো ম্যাচ’ বলা হয়, হকিতে তেমনই, ‘পি-সি যার, ম্যাচ তার’! পেনাল্টি কর্নার যত বেশি কাজে লাগাতে পারে একটা টিম, জেতার সম্ভাবনা তত বাড়ে। কিন্তু ভারতীয় হকি টিম এই সহজ তত্ত্বটা ভুলে যায় প্রায়ই। জাপানের বিরুদ্ধেই যেমন হল। দীর্ঘদিন পর চেন্নাইয়ে হকির কোনও মেগা ইভেন্ট হচ্ছে। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের ম্যাচ দেখার জন্য উপচে পড়েছিল গ্যালারি। হরমনপ্রীত সিংদের ক্রমাগত তাতিয়ে গেলেন সমর্থকরা। তাতেও কোনও লাভ হল না। জয় এল না। জাপানের বিরুদ্ধে ১-১ ড্র করে মাঠ ছাড়ল ভারত। গুনে গুনে ৯টা পেনাল্টি কর্নার কাজে লাগাতে না-পারার খেসারত দিতে হল ভারতীয় টিমকে। চিনের বিরুদ্ধে বড় ব্যবধানে ৭-২ জিতে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যাত্রা শুরু করেছিল ভারতীয় টিম। সামনে এশিয়ান গেমস। তার পর প্যারিস অলিম্পিক। ফলে, মেগা ইভেন্টের জন্য হরমনপ্রীতদের কাছে চমৎকার প্রস্তুতি পর্ব হতে চলেছে এই চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। কিন্তু তাতেই জাপানের মতো প্রথম সারির টিমের কাছে হেরে বসায় মনোবল তলানিতে চলে যাবে, সন্দেহ নেই। যদিও ভারতীয় টিম শুরুটা চমৎকার করেছিল। ইদানীং ভারত আক্রমণাত্মক হকি খেলার চেষ্টাই করে। জাপানের বিরুদ্ধে শুরু থেকে ঝড় বইয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেও প্রতিপক্ষ টিমের ডিফেন্স ভাঙতে পারেনি ভারতীয় দল। তার কারণই হল, জাপান ডিফেন্স সামলে খেলার চেষ্টা করেছিল শুরু থেকে। টানা পিসি মিস করতে করতে সেই পেনাল্টি কর্নার থেকেই গোল পেয়ে যায় ভারত। তৃতীয় কোয়ার্টারের একেবারে শেষ দিকে, ৪৩ মিনিটে হরমনপ্রীত সিংয়ের ড্র্যাগ ফ্লিক থেকেই ১-১ করে ভারত। ০-১ পিছিয়ে থাকলেও বিরতির আগ্রাসী মোডেই নেমেছিলেন যুগরাজ, হরমনপ্রীতরা। জাপানি বক্সে বারবার হামলে পড়ার সুফলও মিলল দ্রুত। তবে যে ভাবে খেলা গড়াচ্ছিল, তাতে ৪৭ মিনিটে যুগরাজ ২-১ করে দিতে পারতেন। তাঁর ড্র্যাগ ফ্লিক সেভ করে দেন জাপানি কিপার। একটা সময় অবশ্য মনে হচ্ছিল, জাপানই জিতবে ম্যাচটা। একের পর এক পেনাল্টি কর্নার মিস করে বিরতির ঠিক আগে ০-১ হয়ে যায় ভারত। ২৮ মিনিটে পেনাল্টি কর্নার থেকেই ১-০ করে ফেলে জাপান। ভারত তখন ১০ জনে খেলছে। ২৭ মিনিটে যুগরাজ সিং গ্রিন কার্ড দেখে ২ মিনিটের জন্য় মাঠের বাইরে চলে যান। জাপানিরা যে সুযোগ কাজে লাগিয়েছিল। পেনাল্টি কর্নার থেকে কেন নাগাইওশি দুরন্ত গোল করেন। ভারতীয় কিপার কোনও সুযোগই পাননি।