যে কোনও টুর্নামেন্টের শুরুটা ভালো হওয়া খুবই জরুরি। এশিয়ান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি হকিতে ভারতের শুরুটা তেমনই হল। টুর্নামেন্টের প্রথম দিন তিনটি ম্যাচ ছিল। সবচেয়ে বড় জয় ভারতের। চিনকে ৭-২ ব্যবধানে হারিয়ে যাত্রা শুরু করল ভারতীয় দল। দলের দুই সিনিয়র খেলোয়াড়ের কাছে স্মরণীয় হয়ে রইল তাদের মাইলফলকের ম্যাচ। এটি ছিল অমিত রুইদাসের ১৫০তম ম্যাচ এবং সুমিতের ১০০তম। হেড টু হেডে চিনের থেকে অনেকটাই এগিয়ে ছিল ভারত। এই নিয়ে আটবার মুখোমুখি দু-দল। সাত গোলে সপ্তম জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। সদ্য ইউরোপে টুর্নামেন্ট খেলে এসেছে ভারত। চেন্নাইতে প্রস্তুতিও ভালো ভাবে সেরেছে। ম্যাচে নেমে সেই ছন্দ ধরে রাখল। ৫ মিনিটের মাথায় প্রথম পেনাল্টি কর্নার পায় ভারত। সুযোগের সদ্ব্যবহার করেন ভারত অধিনায়ক হরমনপ্রীত সিং। তিনি গোলের খাতা খোলেন, এরপর সংখ্যা বাড়তেই থাকে। ৮ মিনিটে ভারতের হয়ে ব্যবধান বাড়ান ক্যাপ্টেন হরমনপ্রীতই। ডানদিকের কর্নার থেকে ড্র্যাগ ফ্লিকে দ্বিতীয় গোল। তার ২ মিনিট পর পেনাল্টি কর্নার পায় ভারত। কিন্তু সে বার গোল আটকে যায় চিন রক্ষণে। ১৪ মিনিটে আরও একটি সুযোগ তৈরি হয়েছিল ভারতের। সেলভাম কার্তি গোলের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তা রুখে দেন চাইনিজ ডিফেন্ডার। ১৫ মিনিটে বরুণ কুমারের ফ্লিক সেভ করলেও ভারতের হয়ে তৃতীয় গোল আটকাতে পারেননি চিনের হকি প্লেয়াররা। ভারতের তৃতীয় গোল সুখজিৎ সিংয়ের। প্রথম কোয়ার্টারেই ৩-০ এগিয়ে যায় ভারত। দ্বিতীয় কোয়ার্টার শুরু হতেই ভারতের হয়ে ব্যবধান বাড়ান আকাশদীপ সিং। ১৬ মিনিটে ভারতের হয়ে চতুর্থ গোল করেন আকাশদীপ। ৪-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে গোল শোধ করে চিন। ১৮ মিনিটে তাদের প্রথম গোল ই ওয়েনহুইয়র। যদিও পরের মিনিটেই ভারতের পক্ষে স্কোরলাইন ৫-১ করেন বরুণ কুমার। ২৩ মিনিটে গ্রিন কার্ড দেখেন ভারতের জার্মানপ্রীত সিং। ৫ মিনিটের জন্য তাঁকে সাসপেন্ড করা হয়। এরপর আরও ভুলের খেসারত দিতে হয় ভারতকে। চিনের পক্ষ থেকে ২৫ মিনিটে দ্বিতীয় গোল শোধ করেন জিয়েসাং জিয়াও। শেষ হাসি ভারতেরই। ৭-২’র জয়ে জোড়া গোল হরমনপ্রীত সিং এবং বরুণ কুমারের। এ ছাড়া একটি করে গোল মনদীপ সিং, সুখজিৎ সিং এবং আকাশদীপ সিংয়ের। এ দিন আরও দুটি ম্যাচ ছিল। সপ্তম এশিয়ান হকি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে জাপানকে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছে কোরিয়া। এরপর দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানকে ৩-১ ব্যবধানে হারিয়েছে মালয়েশিয়া।