হাওড়া : আজ থেকে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য বেলুড় মঠে পূর্ণাঙ্গ সময়ের জন্য প্রবেশের অধিকার দিল বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ। কোভিড শুরুর আগের যে নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী মঠের দরজা খোলা হতো, সারাদিনের সেই পূর্ণাঙ্গ সময় নির্ঘন্ট নিয়ে ফের খুলল বেলুড় মঠ। সম্প্রতি, বেলুড় মঠের তরফ থেকে ঘোষিত নির্দেশিকাতে আজ অর্থাৎ নববর্ষের দিন থেকে পুনরায় বেলুড় মঠে প্রবেশাধিকার ও মঠের ভিতরে দর্শনীয় স্থানগুলোতে যা কোভিড বিধি নিষেধের কারণে নিয়ন্ত্রিত ছিল, তা তুলে নেওয়া হয়েছে। ভক্ত ও দর্শনার্থীরা আগের মতই মঠে প্রবেশ করতে পারবে।
মঠের অভ্যন্তরে চারটি মন্দির ছাড়াও পুরানো ঠাকুরঘর, স্বামী বিবেকানন্দের বাসকক্ষ ও পুরানো মঠ (নীলাম্বর মুখার্জীর বাগানবাড়ী) দর্শন ও প্রণাম নিবেদন করতে পারবেন ভক্ত ও দর্শনার্থীরা। এছাড়াও মন্দিরগুলিতে বসে উপাসনা (জপ, ধ্যান, ইত্যাদি) করতে পারবেন। শ্রীশ্রীমায়ের ঘাটও পুনরায় ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া দীর্ঘ দু’বছর মঠের রন্ধন শালা বন্ধ থাকার পর ফের তা চালু করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষ। আবারও রন্ধনশালাতে তৈরি ভোগ নিবেদিত হবে ঠাকুরের উদ্যেশ্যে।
সেই ভোগ দুপুরে প্রসাদ রূপে ভক্ত ও দর্শনার্থীদের মধ্যে আগের মতো বিতরণের ব্যবস্থা করা হবে আজকের বিশেষ দিনে। পাশাপাশি আজ সন্ধ্যায় পূর্বের ন্যায় সন্ধ্যারতির সময় মন্দিরে বসতে ও আরতি দর্শন করতে পারবেন বেলুড় মঠে আগত সমস্ত দর্শনার্থী ও ভক্তরা। মঠের তরফ থেকে জানান হয় নববর্ষের দিন অর্থাৎ আজ থেকে বেলুড় মঠ ভক্ত ও দর্শনার্থীদের জন্য সকাল ৬.৩০টা থেকে ১১.৩০টা পর্যন্ত এবং সন্ধ্যা ৪.০০টা থেকে ৯.০০টা পর্যন্ত খলা থাকবে। তবে, বেলুড় মঠ কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সকল ভক্ত ও দর্শনার্থীদের অনুরোধ জানানো হয়েছে যে, সকলেই যেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী ‘মাস্ক’ ও ‘স্যানিটাইজার’ ব্যবহার করবেন।