অন্য রাজ্যের কথা তুলে মণিপুরের ঘটনাকে বিচার করা যায় না। মণিপুর মামলার শুনানিতেও উঠে এল বাংলার প্রসঙ্গ। মণিপুর প্রসঙ্গে একটি মামলার শুনানিতে এমনটাই জানালেন দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। বিবস্ত্র করে রাস্তায় হাঁটানোর ঘটনায় নতুন একটি আবেদন করে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মণিপুরের দুই নির্যাতিতা। এই মামলার শুনানিতেই এক আইনজীবী পশ্চিমবঙ্গ এবং রাজস্থানের নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। কিন্তু মণিপুরের ঘটনার চরিত্র আলাদা বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে মণিপুর নিয়ে এক মামলার শুনানি চলাকালীন সওয়ালকারি আইনজীবী বাঁশুরি স্বরাজ বলেন, মণিপুরের মতো বাংলার অবস্থা একই। কিন্তু সেখানে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। পঞ্চায়েত নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে এক মহিলাকে নগ্ন করে ঘোরানো হয়েছে। মারধর করা হয়েছে। এরপরই প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, নিঃসন্দেহে গোটা দেশে মহিলাদের উপর অত্যাচার হচ্ছে। এটা সামাজিক বাস্তবতা। তবে সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য, অন্য রাজ্যে এ ধরনের ঘটনা ঘটছে বলে মণিপুরের ঘটনাকে কোনওভাবেই ‘ন্যায্য’ বলা যায় না। সমগ্র ঘটনাই নিন্দাজনক।
এদিনের শুনানিতে দুই নির্যাতিতা আদালতে জানান, সিবিআই তদন্তে তাঁদের আস্থা নেই। উল্টে আদালতের পর্যবেক্ষণে বিশেষ তদন্তকারী দল গড়ে ওই ঘটনার তদন্ত করার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। সোমবার দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে সওয়াল জবাব পর্ব চলার সময়ে কেন্দ্র জানায়, আদালতের পর্যবেক্ষণে তদন্ত হলে তাদের আপত্তির কিছু নেই। নিজেদের নাম প্রকাশ না করার আর্জি জানানোর পাশাপাশি, শীর্ষ আদালতে আর একটি আর্জি জানিয়েছিলেন মণিপুরের ওই দুই নির্যাতিতা।
সোমবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, মণিপুরের যৌন নিগ্রহের ঘটনার ওটাই একমাত্র উদাহরণ নয়। এই প্রসঙ্গে তিনি স্বরাষ্ট্র সচিবের তরফে পেশ করা হলফনামার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘ওই হলফনামাই বলছে, এই ধরনের বহু ঘটনা সে রাজ্যে ঘটেছে।’