তরুণদের সাফল্যের সংজ্ঞা বোঝালেন মোহনবাগান রত্ন

মোহনবাগানে চাঁদের হাট। এ বার মোহনবাগান দিবস পালিত হল দু-দিনে। ঐতিহাসিক ২৯ জুলাই অর্থাৎ গত কাল নানা অনুষ্ঠান হয়েছিল। একই সঙ্গে প্রকাশিত হয় সুব্রত ভট্টাচার্যর আত্মজীবনী ‘ষোলো আনা বাবলু’। মোহনবাগানের মূল অনুষ্ঠান হল এদিন। বিশেষ অনুষ্ঠানকে ঘিরেই চাঁদের হাট। এমন একটা পরিবেশে আপ্লুত মোহনবাগান রত্ন গৌতম সরকার। মোহনবাগানের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন ফুটবলার তথা সর্বভারতীয় ফুটবল সংস্থার সভাপতি কল্যাণ চৌবে। নানা বিষয়ের পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘সময় এসেছে সামনে তাকানোর। আজ মোহনবাগান সমর্থকরা গান গাইলেন। খুবই ভালো লাগল। ইউরোপের ফুটবলে যেটা আমরা দেখে এসেছি। দল হারুক-জিতুক, সমর্থকরা সারাক্ষণ পাশে রয়েছে। এখন কেরালা ব্লাস্টার্স, বেঙ্গালুরু এফসি এবং ভারতীয় দলের খেলাতেও দেখা যায়, সমর্থকদের একটা বড় অংশ পুরো সময় দলকে তাতানোর জন্য গান গেয়ে যায়। মোহনবাগানের বিশাল সমর্থক। তাদের বলব, ক্লাব এবং দলের ভালোর জন্য এমন সংস্কৃতি আনো। ফেডারেশন সভাপতি আরও যোগ করলেন, ‘এ বছর কলকাতা লিগ বিদেশীহীন। প্রচুর দেশীয় ফুটবলার উঠে আসছে। ভবিষ্যতেও মোহনবাগান যেন ভারতীয় ফুটবলকে পথ দেখাতে পারে, সেই চেষ্টা থাকুক।’ অঞ্জন মিত্র নামাঙ্কিত সেরা অফিসিয়ালের পুরস্কার পেলেন নবাব ভট্টাচার্য। তাঁর হাতে এই পুরস্কার তুলে দেন ফেডারেশন সভাপতি কল্যাণ চৌবে। ভারতের বেকেনবাওয়েরকে রত্ন সম্মান তুলে দিলেন মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত। মোহনবাগান রত্ন গৌতম সরকার বলেন, ‘পৃথিবীর একজন শ্রেষ্ঠ ক্রীড়াবিদ মহম্মদ আলি। তাঁর কিছু কথা বলতে চাই- আমরা এই যে খেলাধুলার চেষ্টা করেছি, ফলের জন্য করিনি। আমাকে যেন সকলে মনে রাখে। এর জন্যই খেলেছি। কাউকে যদি সাফল্যের চূড়ায় যেতে হয়, তাঁর মধ্যে তিনটে বিষয় থাকা খুবই জরুরী। তা হল ড্রিম-ডিজায়ার-ভিশন। উইল মাস্ট বি বিগার দ্যান স্কিল। ‘ যাদের জন্য মোহনবাগান দিবস সেই অমর এগারোর পরিবারের সদস্যদের মঞ্চে ডাকা হয়। তাদের সবুজ মেরুন উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানানো হয় ক্লাবের তরফে। এ বারই সেরা সমর্থকের পুরস্কার শুরু করেছে মোহনবাাগান। সেই পুরস্কার পেলেন সবুজ মেরুন সমর্থকদের কাছে দিদা নামে পরিচিত শান্তি চক্রবর্তী এবং কমলেশ উপাধ্যায়কে বিশেষ পুরস্কার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

twelve − three =