নিজেদের মাঠে মরসুমের প্রথম ম্যাচ ইস্টবেঙ্গলের। উন্মাদনা থাকবে এমনটাই স্বাভাবিক। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের উচ্ছ্বাস অবশ্য মাত্রাও ছাড়াল। ম্যাচ চলাকালীন মাঠে মাঠে ঢুকে পড়েন বেশ কিছু সমর্থক। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন পুলিশ কর্মীরা। মাঠে অনবদ্য পারফরম্যান্স দলের। বিদেশিহীন লিগ হওয়ায় প্রচুর তরুণ ফুটবলার উঠে আসছেন। বিশেষ করে বলা যায় নতুন স্ট্রাইকার পাওয়া যাচ্ছে। এ দিন হোমগ্রাউন্ডে ইস্টার্ন রেলওয়ের বিরুদ্ধে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে জিতল ইস্টবেঙ্গল। ঘরের মাঠে ইস্টার্ন রেলের বিরুদ্ধে ম্যাচ শুরুর আগে সিনিয়র দলের হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাত ড্রেসিংরুমে যান। সঙ্গে ছিলেন সরকারি কোচ দিমাস দেলগাদো। তরুণ ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলেন কোচ। সিনিয়র দলের হেড কোচের পরামর্শ পেয়ে বাড়তি উৎসাহ পান তরুণ ফুটবলাররা। প্রথমার্ধেই ৩ গোল করে ইস্টবেঙ্গল। অভিষেক কুঞ্জম, ভানলালপেকা গুইতে এবং সিকে অমন। কয়েকদিন আগেই অনূর্ধ্ব ১৭ জাতীয় দলের দুই ফুটবলারকে সই করিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল। হেড কোচ কার্লেস কুয়াদ্রাতের পরামর্শেই এই দু-জনকে সই করানো হয়। তাঁদেরই একজন মাত্র ১৬ বছরের ভানলালপেকা গুইতে। এ দিন লালহলুদ জার্সিতে অভিষেক হল গুইতের। অভিষেকেই গোল করে নজর কাড়লেন এই মিডফিল্ডার।দ্বিতীয়ার্ধে আরও বিধ্বংসী হওয়ার চেষ্টা ইস্টবেঙ্গলের। শুরুতেই অবশ্য গোল খায় লাল-হলুদ। স্কোর লাইন ৩-০ থেকে ৫২ মিনিটে ৩-১। তবে দ্রুতই প্রত্যাবর্তন ইস্টবেঙ্গলের। ৭৮ ও ৮৮ মিনিটে আরও দুটি গোল। শেষ অবধি ৫-১ ব্যবধানে জিতল ইস্টবেঙ্গল। জোড়া গোল সিকে অমনের। শেষ গোলটি করেন রাজিবুল মিস্ত্রি। ম্যাচের সেরার পুরস্কার জিতে নেন সিকে অমন। বলছেন, ‘আজকের এই পুরস্কার সমর্থক, কোচ এবং পরিবারকে উপহার দিতে চাই।’ লিগে ইস্টবেঙ্গলের পরবর্তী ম্যাচ সোমবার ওয়ারি অ্যাথলেটিক ক্লাবের বিরুদ্ধে।