ফের একবার বিরোধী জোটকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ফের সন্ত্রাসবাদী সংগঠনগুলির সঙ্গেও নতুন বিরোধী জোটের তুলনা করলেন তিনি। রাজস্থানের সিকারে নির্বাচনী জনসভা থেকে বিরোধী জোট ইন্ডিয়া-র নাম নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘নিজেদের পাপ মুছতে ইউপিএ হয়েছে ইন্ডিয়া।এভাবে নামবদলের খেলা চলছে। দেশের স্বার্থ নিয়ে এদের কারও কোনও মাথাব্যথা নেই।’ এ প্রসঙ্গে তিনি নিষিদ্ধ সংগঠন সিমি ও পিএফআই-এর সঙ্গেও তুলনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এর আগে দলের সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ইন্ডিয়া জোটকে জঙ্গি সংগঠন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। এরপর রাজস্থান থেকে ফের সেই একই তুলনা টানলেন।
মণিপুরে হিংসাপর্ব শুরুর পরে এই নিয়ে দ্বিতীর বার রাজস্থান সফরে এলেন তিনি। চলতি বছরের শেষেই মরুরাজ্যে নয়া বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ সম্পর্কে মোদি বলেন, ‘জালিয়াতির দায়ে বদনাম হয়ে যাওয়া কোম্পানি যেমন নাম বদলে ফেলে, তেমনই নানা দুর্নীতি অভিযুক্ত ইউপিএ নাম বদলেছে। দুর্নীতি আর প্রতারণার ইতিহাস আড়াল করতেই বদলানো হয়েছে নাম।’
মঙ্গলবারের পর বৃহস্পতির দুপুরে রাজস্থানে দলীয় জনসভায় মোদি যে ভাবে বিরোধী জোটকে নিশানা করতে মহাত্মা গান্ধির ‘কুইট ইন্ডিয়া’ (ভারত ছাড়ো) স্লোগানের শরণাপন্ন হলেন, তাতে সেই জল্পনাই আরও জোরালো হল। রাজস্থানে অসন্ন বিধানসভা ভোট। তাই সে রাজ্যের প্রতি মোদির এই ‘উৎসাহ’ বলে অভিযোগ বিরোধীদের। বৃহস্পতিবার বিজেপির সভায় মণিপুর প্রসঙ্গে কিছু না বললেও কংগ্রেস শাসিত রাজস্থানে মহিলাদের উপর নির্যাতনের ঘটনা, গোষ্ঠীহিংসা, দুর্নীতি এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন মোদি। রাজস্থানের মা-বোনেদের সম্ভ্রম রক্ষায় রাজস্থানের কংগ্রেস সরকার কোনও গুরুত্ব দিচ্ছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন।
শেখাবতী অঞ্চলের সীকরে আয়োজিত ওই জনসভায় নিষিদ্ধ জঙ্গিগোষ্ঠী ‘সিমি’ (স্টুডেন্টস ইসলামিক মুভমেন্ট অফ ইন্ডিয়া)-র তুলনা টেনেছেন। মনে করিয়ে দিয়েছেন, ১০ মাস আগে তাঁর সরকার ‘বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন’ (ইউএপিএ)-এ যে ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’ (পিএফআই)-কে নিশানা করেছে, সিমি তারই পূর্বসুরি। দু’ক্ষেত্রেই ‘ইন্ডিয়া’ নাম রয়েছে জানিয়ে মোদির মন্তব্য ‘বিরোধী জোটের নামের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে পাপ।’ কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে ভারতের উপর হামলা চালানোর জন্যই ওই সংগঠন তৈরি হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন তিনি!