রাজ্যে রেশন কার্ডের সংখ্যা আট কোটি ৮০ লক্ষ। এদিকে ভুয়ো কার্ড বাতিল করা হয়েছে বহু। বিধানসভায় এমনই তথ্য জানালেন খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ। ভুয়ো রেশন কার্ড নিয়ে একাধিক অভিযোগও রয়েছে। এ নিয়ে ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ করেছে রাজ্য। গত কয়েক বছর ধরে ভুয়ো রেশন কার্ড চিহ্নিত করছে সরকার। এতে প্রায় দু’কোটি ভুয়ো রেশন কার্ড চিহ্নিত করা গিয়েছে। এরফলে এবার স্বাভাবিকভাবেই প্রচুর অঙ্কের অর্থ সাশ্রয় হতে চলেছে রাজ্যের। এই সমস্ত ভুয়ো রেশন কার্ড ধরারা ফলে বছরে রাজ্যের প্রায় ৩৫০০ কোটি টাকা সাশ্রয় হবে বলে সরকারি সূত্রের খবর। মূলত আধার কার্ড যোগ হওয়ার পরে ভুয়ো রেশন কার্ড শনাক্তকরণ সহজ হয়েছে।
রাজ্যে নিখরচায় রেশন ব্যবস্থা চালু রয়েছে বহুদিন ধরে। ফলে প্রতি বছর বিপুল অঙ্কের টাকা এই বাবদ ব্যয় হয়ে থাকে রাজ্যের। মৃত ব্যক্তির নামে রেশন কার্ড বা একই ব্যক্তির নামে একাধিক রেশন কার্ড থাকার অভিযোগ রয়েছে ভুরি -ভুরি। আধার সংযোগ প্রক্রিয়ায় পরে এই সমস্ত ভুয়ো রেশন কার্ড চিহ্নিত করতে তৎপর হয় রাজ্য সরকার। এই প্রক্রিয়া শুরু হওয়ার পর দেখা যায় রাজ্যে ৮ কোটি ৮০ লক্ষ সঠিক রেশন কার্ড রয়েছে। বাকি রেশন কার্ড নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়েছে। উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ দিতে পারলে নিষ্ক্রিয় হওয়া রেশন কার্ড পুনরায় সক্রিয় করা হবে বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।
সাধারণত একজন রেশন কার্ড গ্রাহককে পিছু প্রতি মাসে পাঁচ কিলোগ্রাম করে খাদ্যশস্য বরাদ্দ করা হয়ে থাকে। সেই হিসেবে একজন গ্রাহক পিছু প্রতি মাসে সরকারের খরচ প্রায় ১৫০ টাকা। সেই হিসেবে ২ কোটি কার্ড পিছু প্রতি মাসে রাজ্যের খরচ ৩০০ টাকা এবং বছরে তা ৩,৬০০ কোটি টাকা। ফলে সব মিলিয়ে ভুয়ো রেশন কার্ড শনাক্ত হওয়ায় বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় হতে চলেছে রাজ্যের।