নববর্ষ। বাংলার বছরের প্রথম দিন। শুভ দিন ঈশ্বরের পুজো ছাড়া অসম্পূর্ণ।এমন দিনে ভোগে রাখুন হেমকণা পায়েস। এর স্বাদ এতটাই সুন্দর যে, প্রসাদ পেয়ে ধণ্য হবে যে কেউ। আর সেই পায়েসে ভক্তের ভক্তি আর ঈশ্বরের আশীর্বাদ মিশলে তো কথাই নেই!
বাঙালির মনে-প্রাণে রয়েছেন যে মানুষটি, তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। তাঁর বাড়ি, অন্দরমহল, কী রান্না হত সে সময় তা নিয়ে মানুষের কৌতূহল এখনও। এই পায়েসটাও কিন্তু ঠাকুর বাড়ির রেসিপি।
উপকরণ- ঘন দুধ, আমন্ড ও কাজু বাদাম, গোবিন্দভোগ চালের গুঁড়ো, ছোট এলাচ, চিনি, জাফরান, খোয়া ক্ষীর।
রান্নার পদ্ধতি-কড়াইতে ভাল করে দুধ জ্বাল দিন। দুধ ফুটে গেলে তাতে কয়েকটা ছোট এলাচ, জাফরান ও স্বাদমতো চিনি দিয়ে আবার ভাল করে ফুটিয়ে নিন, যতক্ষণ না সেটা বেশ ঘন হয়ে যাচ্ছে।
মিক্সি বা শিলনোড়ায় রাতভর ভিজিয়ে রাখা কাজু ও খোসা ছাড়ানো আমন্ড বেটে নিন। এবার একটি পাত্রে খোয়া ক্ষীর গ্রেট করে নিন। তাতে দিন বাদাম বাটা, চিনি ও কিছুটা চালের গুঁড়ো। এবার সমস্ত মিশ্রন ভাল করে মেখে নিন, আটা মাখার মতো। তা থেকে খুব ছোট ছোট গুলি তৈরি করে নিন। তারপর ঘন হয়ে আসা ফুটন্ত দুধে ওই গুলি গুলো ভাল করে ফুটিয়ে নামিয়ে নিন। তৈরি হেমকণা পায়েস।