কানাডায় দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হলেন এক ভারতীয় পড়ুয়া। জানা গিয়েছে, পড়াশোনার পাশাপাশি পিৎজা ডেলিভারির কাজ করতেন তিনি। পিৎজা অর্ডার করার নাম করে ভারতীয় পড়ুয়াকে ডেকে এনে খুন করার অভিযোগ উঠেছে একদল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধে। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দু’বছর ধরে কানাডায় থেকে পড়াশোনা করতেন তিনি। পড়াশোনা শেষ করে কানাডাতেই ব্যবসা করার পরিকল্পনা ছিল মৃত পড়ুয়ার।
২৪ বছর বয়সি মৃতের নাম গুরবিন্দর নাথ। গত ৯ জুলাই মিসিসউগার ব্রিটানিয়া এলাকায় পিৎজা ডেলিভারি করতে যান তিনি। সেখানেই বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী তাঁকে মারধর করে। গুরুতর জখম হন গুরবিন্দর। আহত অবস্থায় তাঁকে ফেলে রেখে তাঁর বাইকটি নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। দীর্ঘ সময় পরে গুরবিন্দরকে ট্রমা কেয়ার সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ১৪ জুলাই তাঁর মৃত্যু হয়। বেশ কয়েকদিন পরে ঘটনাস্থলের ৫ কিলোমিটার দূরে পাওয়া যায় গুরবিন্দরের বাইকটি। ঘটনার তদন্তে নেমে স্থানীয় পুলিশ জানায়, সম্ভবত ইচ্ছা করেই খুন করা হয়েছে গুরবিন্দরকে। সেই জন্যই পরিকল্পনা করে পিৎজা ডেলিভারির নামে তাঁকে ঘটনাস্থলে ডেকে আনা হয়। তবে মৃত ভারতীয় পড়ুয়ার সঙ্গে দুষ্কৃতীদের পরিচয় ছিল না বলেই অনুমান পুলিশের। তদন্তে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন দুষ্কৃতী একসঙ্গে মিলে হামলা চালিয়েছে গুরবিন্দরের উপর। তবে এখনও কাউকেই ধরতে পারেনি পুলিশ। ভারতীয় তরুণের মৃত্যুতে মর্মাহত কানাডার প্রবাসী ভারতীয়রা। টরন্টোর কনসাল জেনারেল সিদ্ধার্থ নাথ বলেন, এই ঘটনা হৃদয়বিদারক। আশা করি, দোষীরা যথাযথ শাস্তি পাবে। গুরবিন্দরের মৃত্যুর নিন্দা করে প্রায় ২০০ জন ভারতীয় মোমবাতি মিছিল করেন। জানা গিয়েছে, আগামী ২৭ জুলাই ভারতে উড়িয়ে আনা হবে গুরবিন্দরের মৃতদেহ। ছেলের শোকে মুহ্যমান গুরবিন্দরের পরিবারের সদস্যরা।