ক্রিকেটার হওয়ার স্বপ্ন তো এর জন্যই। টেস্ট খেলার সুযোগ। প্রথম দিন ৪ ওভার বল করার সুযোগ পেয়েছিলেন। পিচ থেকে কোনও সাহায্য নেই। ব্যাটিং সহায়ক পিচ। ব্যাটার ভুল না করলে উইকেট পাওয়া কঠিন। তৃতীয় দিন ধারাবাহিক ভাবে নিখুঁত লাইন লেন্থে বোলিং করে গেলেন মুকেশ কুমার। খুব বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। দিনের প্রথম স্পেলের তৃতীয় ওভারেই স্বপ্নপূরণ মুকেশ কুমারের। অফস্টাম্পের অনেকটা বাইরের বল। কাট করতে চেয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের অভিষেককারী ব্যাটার কার্ক ম্যাকেঞ্জি। এজ লেগে কিপার ঈশান কিষাণের দস্তানায়। পেসারদের নাকি আগ্রাসন থাকতে হয়! তবে মুকেশের কাছে আগ্রাসন মানে স্লেজিং নয়। ঠাণ্ডা চাহনিও না। তবে উইকেটের সেলিব্রেশনে দেখা গেল সেই আগ্রাসন। তাঁর সাফল্যে প্রথমে দৌড়ে এলেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাট কোহলি। তরুণ পেসারের মাথায় হাত রাখলেন বিরাট। একে একে বাকি সতীর্থরাও তাঁর প্রথম উইকেটের সেলিব্রেশনে সামিল হলেন। পুরোপুরি ব্যাটিং সহায়ক পিচে দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশনে মাত্র ১ উইকেট নিতে পেরেছিল ভারত। দ্বিতীয় দিন প্রথম সেশনে মুকেশের সৌজন্যে দ্বিতীয় উইকেট। ম্যাচের এখনও অনেক সময় বাকি। শেষ দু-দিনের পিচ কেমন আচরণ করবে, বলা কঠিন। তবে এই পিচে উইকেট নেওয়া খুবই কঠিন। নিয়মিত চাপ তৈরি করে অপেক্ষায় থাকতে হবে। ব্যাটার ভুল করবে, সেই সুযোগও নিতে হবে। মুকেশ উইকেট নেওয়ার পরও আবেগে ভেসে যাননি। বরং আরও নিখুঁত হওয়ার চেষ্টা করেছেন। উইকেট সোজা বোলিংয়ে বিব্রত করেছেন। তাঁর ঝুলিতে আরও উইকেট যোগ হয় কিনা, তারই অপেক্ষা