ম্যাচের এখনও দু-দিন বাকি। তবে অ্যাসেজ টেস্টের চতুর্থ ম্যাচে অ্যাডভান্টেজ ইংল্যান্ড। প্রথম দিনের শেষে বলা কঠিন ছিল কেউ এগিয়ে পিছিয়ে কিনা। ৮ উইকেট হারিয়ে ২৯৯ রান তুলে নিয়েছিল অজিরা। তাদের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ৩১৭ রানে। সিরিজের প্রথম দুটি টেস্ট জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। লিডস টেস্টে ঘুরে দাঁড়ায় ইংল্যান্ড। অনবদ্য জয়ে সিরিজ জিইয়ে রাখে। ম্যাঞ্চেস্টারে কিছুটা হলেও এগিয়ে ইংল্যান্ড। সিরিজের শুরু থেকে চর্চায় ছিল ইংল্যান্ডের বাজবল। অজি তারকা ব্যাটার স্টিভ স্মিথ মুখিয়ে ছিলেন তাঁদের বোলারদের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ড কী ভাবে বাজবল খেলে, সে দিকে। ম্যাঞ্চেস্টারে বাজবল হিট। প্রথম ইনিংসে ৫৯২-এর বিশাল স্কোর করেছে ইংল্যান্ড। ওপেনার জ্যাক ক্রলি করেছিলেন ১৮৯ রান। তৃতীয় দিন হ্যারি ব্রুক, ক্যাপ্টেন বেন স্টোকসের হাফসেঞ্চুরি। ইংল্যান্ড শিবিরে সবচেয়ে হতাশার জনি বেয়ারস্টোর তিন অঙ্কে পৌঁছতে না পারা। ৮১ বলে ৯৯ রানে অপরাজিত থাকেন। উল্টোদিকে কোনও সঙ্গী না পাওয়ায় সেঞ্চুরি হল না বেয়ারস্টোর। অজি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল জশ হ্যাজলউড। প্রত্যাবর্তন টেস্টে ৫ উইকেট নেন। ম্যাচে ফিরতে অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন বড় পার্টনারশিপ। এখনও অবধি সেই পরিকল্পনায় ব্যর্থ অজিরা। দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং উসমান খোয়াজা ৫৪ রানের মধ্যেই আউট। স্টিভ স্মিথকে ফিরিয়ে বড় ধাক্কা দেন মার্ক উড। ট্রাভিস হেডও উডের শিকার। তৃতীয় দিনের শেষে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর ১১৩-৪। এখনও তারা পিছিয়ে ১৬২ রানে। সিরিজে সমতা ফেরাতে ইংল্যান্ডের চাই আর ৬ উইকেট। অজি শিবিরে ক্রিজে ভরসা দিচ্ছেন মার্নাস লাবুশেন। ম্যাঞ্চেস্টারে এ দিন মাঠের ওপর দিয়ে একটি এয়ারক্রাফ্ট উড়ে যায়। তাতে বার্তা ছিল, আমরা ৩-২ ব্যবধানে জিতব। ইংল্যান্ড এমন কিছু করতে পারে কিনা, সেটাই দেখার।