ধর্মতলায় লোকসংখ্যার পরিমাণ এবার গত সব বছরের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে

নিজস্ব প্রতিবেদন, কাঁকসা: জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে বৃষ্টি মাথায় করে শুক্রবার ভোর থেকেই লোকাল ও দূরপাল্লার ট্রেনে চেপে কলকাতার ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবসের সভায় যোগ দিতে রওনা দেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা। এদিন বৃষ্টি মাথায় করেই ট্রেনে চেপে হাজার হাজার তৃণমূলের কর্মী-সমর্থক ট্রেনে চেপে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এদিন কলকাতাগামী প্রতিটি ট্রেনেই ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।
এদিন কলকাতা রওনা দেওয়ার আগে পানাগড় স্টেশন থেকে জেলা পরিষদে তৃণমূলের জয়ী প্রার্থী সমীর বিশ্বাস দাবি করেন, প্রতি বছর যে পরিমাণ লোকসংখ্যা হয় কলকাতার ধর্মতলায়, এবার বিগত সব বছরের সেই রেকর্ড ভেঙে যাবে। তিনি আরও দাবি করেন, ১৯৯৩ সালে তৎকালীন বাম সরকারে সচিত্র পরিচয়পত্রের দাবিতে মহাকরণ ঘেরাওয়ের ডাক দেওয়া হয় কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। সেই সময় কংগ্রেসের রাজ্য যুবনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে মহাকরণ অভিযানের যাওয়ার সময় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর নির্দেশে শান্তিপূর্ণ মিছিলে কংগ্রেস কর্মীদের ওপর গুলি চালায় পুলিশ। গুলির ঘায়ে ১৩ জন কংগ্রেস কর্মী নিহত হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে প্রতি বছর ২১ জুলাই শহিদ দিবস পালন করা হয়।
তিনি জানান, ১৯৯৮ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূল কংগ্রেস দল গঠন করার পর তৃণমূলের পক্ষ প্রতি বছর কলকাতার ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ১৩ জনকে শ্রদ্ধা ও তর্পণ করতে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা ভিড় করেন। সেইমতো তাঁরাও পানাগড় থেকে শতাধিক তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে পাড়ি দিচ্ছেন।
এছাড়াও শুক্রবার সকাল থেকে কড়া নজরদারিতে পানাগড় বাইপাসে মোতায়েন ছিলেন কাঁকসা থানার পুলিশ কর্মীরা। পানাগড় বাইপাসের পানাগড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ১ নম্বর গেটের কাছে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে খোলা হয় অস্থায়ী সহায়তা কেন্দ্র।
শুক্রবার সকাল থেকে কলকাতার ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবসের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে শুরু করে বহু যানবাহন। জাতীয় সড়কে যাতে কোনও রকম দুর্ঘটনা না ঘটে, তাই জাতীয় সড়কে ভারী যান চলাচল বন্ধ রাখা হয়। সকাল থেকেই কড়া নজরদারিতে মোতায়েন ছিলেন কাঁকসা থানার পুলিশ কর্মীরা ছাড়াও কাঁকসার এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল এবং কাঁকসা ট্রাফিক গার্ডের এসিপি তুহিন চৌধুরী, সহ কাঁকসা ট্র্যাফিক গার্ডের ওসি অমর দাস ও ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা।
কাঁকসার এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল জানান, কোথাও কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে তৎক্ষণাৎ পুলিশ কর্মীরা সেখানে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সর্বদা প্রস্তুত। এছাড়াও কেউ অসুস্থ হলে বা দুর্ঘটনায় আহত হলে, তাঁদের জন্য সহায়তা কেন্দ্রে রাখা হয় মেডিকেল কিট ও জলের বোতল। শুক্রবার সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশের পক্ষ থেকে নজরদারি চালানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

16 − 6 =