হার-জিত খেলারই অঙ্গ। যে কোনও ক্রীড়াবিদের জীবনে জয়ের ভালো মুহূর্ত যেমন আসে, তেমনই হারের তেতো স্বাদও পেতে হয় তাঁদের। ২০২২ সালে হওয়া কাতার বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট দল ছিল ব্রাজিল। পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ব ব্রাজিল ‘হেক্সা’-মিশন (ষষ্ঠ বার বিশ্বকাপ জয়ের খেতাব) এর লক্ষ্যে নেমেছিল। যদিও লুকা মদ্রিচের ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে হেরে গিয়ে নেইমারদের বিশ্বকাপ যাত্রা শেষ হয়েছিল। সেই হারের পর রীতিমতো ভেঙে পড়েছিলেন ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে নেইমার জানিয়েছেন, কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর কাটানো সেই কঠিন সময়ের কথা। ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার জানান, কাতার বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেওয়ার পর তিনি আর জাতীয় দলে ফিরতে চাননি। পরবর্তীতে অনেক ভাবনা চিন্তা করে আবার জাতীয় দলে ফিরেছেন। কাতার বিশ্বকাপে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হারের পর ব্রাজিল দলে এমন কেউ ছিলেন না যিনি কাঁদেননি। নেইমার জানান, ক্রোয়েশিয়ার কাছে টাইব্রেকারে ৪-২ গোলে হারের পরের কয়েকটা দিন খুব খারাপ কেটেছিল তাঁর। ক্রোটদের বিরুদ্ধে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালের অতিরিক্ত সময়ে নেইমারের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল ব্রাজিল। কিন্তু সেখান থেকে সমতায় ফিরতে বাধ্য হয় সেলেকাওরা। আর তারপর টাইব্রেকারে হার। সেই হার মেনে নিতে ভীষণ কষ্ট হয়েছিল নেইমারের। তিনি বলেন, ‘আমি টানা পাঁচ দিন ধরে কেঁদেছিলাম। ওই ভাবে স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে যাওয়ায় খুব কষ্ট পেয়েছিলাম। ০-০ স্কোরলাইন থেকে টাইব্রেকারে ম্যাচ হারব এবং কোনও গোল করব না, তেমনটা মেনে নিতে রাজি আছি। কিন্তু গোল করব, তারপর গোল হজম করে টাইব্রেকারে গিয়ে হারব, সেটা মেনে নেওয়াটা খুব কঠিন।’ কাতারে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হারের দিনটাকে নেইমার তাঁর জীবনের সবচেয়ে খারাপ মুহূর্ত বলে মনে করেন। নেইমার বলেন, ‘ক্রোয়েশিয়ার কাছে হারটাই ছিস আমার জীবনের সবচেয়ে খারাপ মুহূর্ত। যেমন মনে হচ্ছিল কোনও অন্ত্যোষ্টিক্রিয়া রয়েছি। আমার পাশে একজন কাঁদছিল। অন্যপাশে আরেকজন। গোটা দলের পরিবেশ খুবই ভারী হয়ে উঠেছিল। আমি সেই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে আর কখনও যেতে চাই না।’ প্রসঙ্গত, ব্রাজিলিয়ান তারকা নেইমার চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে পিএসজির হয়ে খেলার সময় চোট পেয়েছিলেন। তারপর কেটে গিয়েছে ৫ মাস। এখনও মাঠে ফিরতে পারেননি নেইমার।