একটা সময় ভারতীয় ক্রিকেটের উঠতি তারকা মনে করা হত তাঁকে। শুধু তাই নয়, কিংবদন্তি সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গেও তুলনা করা হয়েছে। পরবর্তী সচিন বলা হত। ২০১৮ সালে তাঁর নেতৃত্বে বিশ্বকাপ জেতে ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দল। এরপর সব ঠিকই চলছিল। সিনিয়র দলে সুযোগ, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ছাপ ফেলা। হঠাৎই ছন্দপতন। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়েছেন, ব্যক্তিগত জীবনেও নানা সমস্যায় জর্জরিত। মানসিক ভাবে হয়তো অনেকটাই বিপর্যস্ত। না হলে কেউ বলেন, ‘একাকিত্বের সঙ্গে বন্ধুত্ব করে নিয়েছি’! মাত্র ১৮ বছর বয়সেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল পৃথ্বীর। অভিষেক টেস্টে সেঞ্চুরিও করেছিলেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক কেরিয়ার সে ভাবে এগোয়নি। পাঁচটি টেস্ট, আধডজন ওডিআই এবং একটি মাত্র টি-টোয়েন্টি খেলেছেন দেশের জার্সিতে। দীর্ঘ সময় ধরেই জাতীয় দলে ফেরার লড়াই চলছে। রাস্তা যে খুবই কঠিন, বুঝতে সমস্যা হয় না। ২০২১ সালে শ্রীলঙ্কা সফরে দেশের জার্সিতে শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন। গত বছর নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ডাক পেলেও খেলার সুযোগ হয়নি। এ বার ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সুযোগ হয়নি। এমনকি এশিয়ান গেমসের দলেও না। একটি সাক্ষাৎকারে পৃথ্বী বলেন, ‘দল থেকে যখন বাদ পড়েছিলাম, কিছুতেই এর কারণ খুঁজে পাইনি।’ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও এ বার পারফরম্যান্স ভালো হয়নি পৃথ্বীর। দিল্লি একাদশ থেকে বাদও পড়েন। শেষ দিকে কিছুটা সুযোগ পেয়েছিলেন এবং ভালো পারফর্ম করেন। জাতীয় দলে ফেরার লড়াই খেলবেন কাউন্টি ক্রিকেটে। পৃথ্বী আরও বলছেন, ‘আমার কোনও বন্ধু নেই। এখন আর কোথাও বেরোতে ভালো লাগে না। বাইরে বেরোলেই নানা ভাবে লোকে হেনস্থা করে। এখন তো সোশ্যাল মিডিয়াতেও কিছু পোস্ট করতে ভয় লাগে। সেটা নিয়েও অনেক কথা হয়। একাকিত্বের সঙ্গে বন্ধুত্ব করেছি। এ ভাবেই ভালো আছি।’ সদ্য সমাপ্ত দলীপ ট্রফিতে সেমিফাইনাল ও ফাইনাল মিলিয়ে চার ইনিংসে পৃথ্বীর স্কোর ২৬, ২৫, ৬৫ এবং ৭। কাউন্টি ক্রিকেটে নর্দ্যাম্পটনশায়ারে খেলবেন। কাউন্টি খেলার জন্য দেওধর ট্রফিতে থাকছেন না। বোর্ডের অনুমতিও মিলেছে। ভিসা সমস্যার জন্য তাঁর ইংল্যান্ড যাওয়াও কিছুটা পিছিয়েছে।