মেয়েদের ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার দাপট বরাবরই। ওয়ান ডে ক্রিকেটে আধিপত্যও দেখিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। সেই পরিসংখ্যান বদলে দিল ইংল্যান্ড। এক দশকে প্রথম বার ওয়ান ডে সিরিজ হার অস্ট্রেলিয়ার। মেয়েদের অ্যাসেজ সিরিজ শেষ হল অমীমাংসিত ভাবেই। সিরিজের একমাত্র টেস্ট জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টি এবং ওয়ান ডে সিরিজ জিতল ইংল্যান্ড। বৃষ্টিবিঘ্নিত তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে অনবদ্য জয় ইংল্যান্ডের। গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন ন্যাট সিবার এবং কেট ক্রস। টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন অজি অধিনায়ক অ্যালিসা হিলি। শুরুতেই সোফিয়া ডাঙ্কলিকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ড শিবিরে বড় ধাক্কা দেন অ্যাশলে গার্ডনার। পরের ওভারেই ট্যামি বোমন্টকে ফেরান পেসার মেগান শুট। ১২ রানে ২ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে ইংল্যান্ড। ন্যাট সিবারের সঙ্গে পরিস্থিতি সামাল দেন অধিনায়ক হেদার নাইট। জুটি ভেঙে অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচে ফিরিয়েছিলেন লেগ স্পিনার অ্যালানা কিং। হেদার নাইট ফেরেন ৬৭ রানে। অ্যালিস ক্যাপসি ক্রিজে থিঁতু হতে পারেননি। ড্যানি ওয়্যাট বিধ্বংসী ব্যাটিং করেন। মাত্র ২৫ বলে ৪৩ রানের ক্যামিও ইনিংস। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৮৫ রান করে ইংল্যান্ড। সৌজন্যে পেস বোলিং অলরাউন্ডার ন্যাট সিবার ব্রান্ট। টানা দ্বিতীয় ম্যাচে শতরানের ইনিংস। এ দিন করেন ১২৯ রান। বৃষ্টির প্রভাব পড়ে ম্যাচে। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে ৪৪ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৬৯ রান। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই লিচফিল্ডকে ফেরান লরেন বেল। তবে অজি শিবিরে বড় ধাক্কা পরের ওভারেই। অনবদ্য ইনসুইংয়ে অ্যালিসা হিলিকে বোর্ড করেন কেট ক্রস। অস্ট্রেলিয়ার প্রয়োজন ছিল পার্টনারশিপের। কিন্তু রানের চাপ বাড়তে থাকায় গতি বাড়াতে হয়। এলিস পেরি অর্ধশতরান করলেও যথেষ্ঠ ছিল না। মিডল অর্ডারে ক্যামিও ইনিংস খেলেন অ্যাশলে গার্ডনার। মাত্র ২৪ বলে ৪১ রান তাঁর। মিডল ও লোয়ার অর্ডার অবশ্য দায়িত্ব নিতে ব্যর্থ। ৩৫.৩ ওভারে ১৯৯ রানেই অস্ট্রেলিয়াকে অলআউট করে ইংল্যান্ড বোলিং আক্রমণ। কেট ক্রস ৩ উইকেট নেন। ডট বলে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলেন বাঁ হাতি স্পিনার সোফি এক্লেস্টন। শতরানের অনবদ্য ইনিংসের পাশাপাশি ১ উইকেট নেন সিবার। ৬৯ রানের বড় ব্যবধানে জয় ইংল্যান্ডের। দীর্ঘ এক দশক, ২০১৩ সালের পর এই প্রথম ওয়ান ডে সিরিজ হারল অস্ট্রেলিয়া মহিলা ক্রিকেট দল।