মার্কেতা ভনদ্রুসোভা। টেনিস বিশ্বে এই মুহূর্তে সবচেয়ে চর্চিত নাম। অবাছাই প্রতিযোগী হিসেবে উইম্বলডনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নেমেছিলেন। টুর্নামেন্ট শেষ করলেন চ্যাম্পিয়ন হয়ে। ২০২৩ সালের ১৫ জুলাই দিনটি কোনওদিন ভুলতে পারবেন না চেক প্রজাতন্ত্রের মার্কেতা ভনদ্রুসোভা। ফেভারিট অনস জাবেউরকে হারিয়ে মেয়েদের সিঙ্গলসে মার্কেতার উইম্বলডন চ্যাম্পিয়ন হওয়া কোনও অঘটন নয়। তবে অপ্রত্যাশিত তো বটেই। গ্র্যান্ড স্লামের মতো মেজর টেনিস টুর্নামেন্ট জিততে হলে অনেকটা পথ পাড়ি দিতে হয়। কিন্তু মার্কেতার লড়াইটা ছিল অন্য। জ্ঞান হওয়ার পর থেকে লড়াই তাঁর সঙ্গী। ছোট থেকে যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন সেটাই চেক টেনিস তারকাকে জীবন ও কোর্ট- উভয় জায়গাতেই লড়তে সাহায্য করেছে। ২৪ বছরের মার্কেতার জন্ম ১৯৯৯ সালের ২৮ জুন। মাত্র ৪ বছর বয়সে টেনিসের সঙ্গে পরিচয় তাঁর। বাবার হাত ধরে টেনিসের জগতে আসেন মার্কেতা। পরিবারে খেলাধুলোর পরিবেশ ছিল। মা ছিলেন একজন ভলিবল খেলোয়াড়। মার্কেতার যখন মাত্র ৩ বছর বয়স তখন বাবা-মার মধ্যে বিচ্ছেদ হয়ে যায়। জ্ঞান হওয়ার পর থেকে বাবা-মাকে আলাদা দেখেছেন। সেভাবেই বড় হয়েছেন। বিচ্ছেদ হলেও মেয়েকে টেনিস খেলোয়াড় হিসেবে গড়ে তোলার ভার নিয়েছিলেন তাঁর অভিভাবক। শুধু টেনিস নয়, মেয়েবেলায় স্কি, ফুটবল, টেবল টেনিস খেলেছেন। একটু বড় হওয়ার পর থেকে শুধুমাত্র টেনিসের দিকে ঝোঁকেন। ২০০৬ সালে প্রাগ সোয়ানিস আইল্যান্ডে এক জাতীয় মিনি টেনিস টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিলেন মার্কেতা। প্রতিযোগিতার তৃতীয় স্থানে শেষ করেন তিনি। এরপর ক্রোয়েশিয়ার উমাগে এক আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নেন। যেখানে প্রথম রাউন্ডেই হেরে গিয়েছিলেন মার্কেতা। টেনিসে কেরিয়ার গড়ার লক্ষ্যে মাত্র ১৫ বছর বয়সে ঘর ছাড়েন তিনি। পাড়ি জমান প্রাগে। যাতে নিয়মিত অনুশীলনের মধ্যে থাকতে পারেন। তার আগে মাত্র ১২ বছর বয়সে আমেরিকায় জুনিয়র ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার্স জেতেন ভনদ্রুসোভা।