নিজস্ব প্রতিবেদন, গোরু পাচার কাণ্ডে নতুন মোড়। গোরু পাচার কাণ্ডে নতুন সম্পত্তির হদিশ পেল সিবিআই। শুক্রবার এই তথ্য সম্বলিত একটি বাজেয়াপ্ত তালিকা আসানসোল আদালতে জমা দিল সিবিআই। শুক্রবার সাড়ে তিন কোটি টাকার এই সম্পত্তি সায়গলের স্ত্রী সোমাইয়া ও তাঁর মা লতিফা খাতুনের নামে রয়েছে বলে বিচারক রাজেশ চক্রবর্তীকে জানান সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য। বাজেয়াপ্ত করা এই সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে কয়েকটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, জমির দলিল, পেট্রল পাম্প। সিবিআই জানিয়েছে, এই বিশাল সম্পত্তির একটা অংশ বীরভূমের একটি পেট্রল পাম্পে বিনিয়োগ করা হয়েছে।
তদন্তে নেমে এই নিয়ে চতুর্থ পেট্রল পাম্পের হদিশ পেল সিবিআই। এছাড়াও সায়গলের স্ত্রী আত্মীয়র নামে একটি নির্মাণকারী সংস্থার খোঁজ মিলেছে। এখানেও বেশ কিছু টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। একই সঙ্গে একটি সংস্থার কথা উল্লেখ করা হয়েছে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে, যার ডিরেক্টর অনুব্রত কন্যা সুকন্যা মণ্ডল ও বিদ্যুৎ বরণ গায়েন। সংস্থার সিংহভাগ শেয়ার সুকন্যা এবং বিদ্যুৎ বরণ গায়েনের বলে দাবি করেছে সিবিআই। এই সময় বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী জানতে চান, বিদ্যুৎ বরণ গায়েনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে কিনা, প্রত্যুত্তরে সিবিআইয়ের তদন্তকারী অফিসার সুশান্ত ভট্টাচার্য জানান, দু’বার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বিচারক তা দেখতে চাইলে, তিনি জিজ্ঞাসাবাদ পর্বের তথ্য জমাও দেন। এই তথ্য থেকেই অনুমেয় যে, বিদ্যুৎ বরণ গায়েনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেই সিবিআই বেশ কিছু সম্পত্তির সন্ধান পেয়েছে।
এদিনেরû চার্জশিটে ‘ধর্মরাজ রাইস মিল’ নামে একটি চালকলের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এই সংস্থার কাগজ পরীক্ষা করে দেখা যায় সেখানে বলা হয়েছে যে, এনামুলকে চাল বিক্রি করে টাকা পেয়েছে এই সংস্থা, যা আদপেই সত্যি নয় বলে দাবি সিবিআইয়ের। তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত প্রায় ১৫ একর জমির সন্ধান মিলেছে। যার মূল্য বাজার দরের চেয়ে অনেক কম করে দেখানো হয়েছে, যার ফলে রাজ্য সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হয়েছে।
এদিন অনুব্রত ও সায়গালের ভার্চুয়াল শুনানির কথা থাকলেও, তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগই করা যায়নি। পরপর দু’দিন ওই দু’জনকে উপস্থিত না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী। এদিন তিনি জরুরি ভিত্তিতে তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষকে মেলের মাধ্যমে নির্দেশ দেন, ১০ অগস্ট যেন দু’জনকে ভার্চুয়ালি উপস্থিত করানোর ব্যবস্থা করা হয়।