হুগলি: সংরক্ষিত আসনের জটিলতায় সমস্যায় পড়েছে শাসক দল তৃণমূল। হুগলি জেলার আরামবাগের সালেপুর ১ নম্বর অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস দখল করেছে। এখানে ১৬টি আসনের মধ্যে ১০টি তে জয়লাভ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও ৬টি আসনে জয়লাভ করেছে বিজেপি। স্বাভাবিকভাবেই এখানে বোর্ড গঠন করবে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু মজার বিষয় হল কোনও মিরাকেল না ঘটলে প্রধান হবে বিজেপির। এছাড়া প্রশাসনিকভাবে অন্য কোনও উপায় নেই বলেই জানা গেছে। এই অঞ্চলে প্রধান সিটটি এসটি মহিলা সংরক্ষিত। তৃণমূলের একজনই এসটি মহিলা প্রার্থী ছিলেন। তার নাম হল সরস্বতী সরেন। কিন্তু তিনি বিজেপি প্রার্থী পূর্ণিমা মান্ডির কাছে পরাজিত হয়েছেন। কাজেই তৃণমূলের কাছে প্রধান করার মতো আর কোনও এসটি মহিলা প্রার্থী নেই। স্বাভাবিক নিয়মে এখানে প্রধান হবেন পূর্ণিমা মান্ডি। এখন তৃণমূল কংগ্রেস যদি ঘোড়া কেনাবেচার মতো পূর্ণিমা মান্ডিকে তৃণমূলে যোগদান করাতে না পারে তাহলে প্রধান হবে বিজেপির প্রার্থী। এই মুহূর্তে পূর্ণিমা মান্ডি তৃণমূলে যোগ দিলেও প্রধান হবেন, বিজেপিতে থাকলেও প্রধান হবেন। কাজেই তার বিজেপি ছাড়ার কোনও সম্ভাবনা নেই। বিজেপি নেতৃত্ব বলছেন, তৃণমূল সব পারে। পূর্ণিমা মান্ডিকে কেনার জন্য বহু টাকা অফার করবে। তার পরিবারকে পুলিশ দিয়ে হেনস্তা করাবে। তবে তাদের বিশ্বাস কোনওভাবেই পূর্ণিমা মান্ডি দল বদল করবে না। এই বিষয়ে পূর্ণিমা মান্ডি বলেন, পাড়ার লোকের ওপর আমার ভরসা ছিল। তারা আমাকে জেতাবে।
প্রধান সিটে আমায় বসতে হবে বলে অনেকে বলেছেন। এলাকার রাস্তা, ড্রেন পানীয় জল ও গরিব মানুষের বাড়ি করতে হবে। অপরদিকে সালেপুরের বিজেপি নেতা কিঙ্কর পাল বলেন, সংরক্ষিত সিটে তৃণমূলের প্রার্থী সরস্বতী সরেন হেরে গিয়েছেন। বর্তমানে আমাদের সংরক্ষিত সিটের প্রার্থী পূর্ণিমা মান্ডি জিতে গিয়েছে। আর কেউ নেই। আইন অনুযায়ী বিজেপির প্রার্থী প্রধান হবে। জনগণের স্বার্থে কাজ করতে হবে। তবে পূর্ণিমার এলাকার মানুষজন বলছেন, আদিবাসীরা বিশ্বাসঘাতক নয়। পূর্ণিমা মান্ডিকে মানুষ বিশ্বাস করে ভোট দিয়েছে। তিনি কোনও মতেই বিজেপি ছেড়ে যাবেন না। সব মিলিয়ে সালেপুর ১ অঞ্চলে বিজেপির প্রার্থীকে প্রধান করেই বোর্ড গড়তে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই বিষয়টি সামনে আসতেই মহকুমা জুড়ে হইচই পড়ে যায়।