হুগলি: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত হুগলি জেলার বিভিন্ন জায়গায়। এবার হুগলির জাঙ্গিপাড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসাত্মক ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, রাজবলহাট-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের রহিমপুর কুমোরপড়ায় বুধবার রাতে বিজেপি সমর্থকদের বাড়িতে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। ভাঙচুর করা হয় কয়েকটি বাড়ি। বোমা মারা হয়। লাঠি, বাঁশ, শাবল টাঙি নিয়ে মারধর করা হয় হয় বিজেপি বুথ সভাপতি নব পাল। এবার ভোটের ২৯ নম্বর বুথের প্রার্থী সৌরেন পালের বাড়ি-সহ দশটি বাড়িতে। তারক পাল নামে এক প্রৌঢ়ের মাথায় টাঙি দিয়ে কোপানো হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে প্রথমে জাঙ্গিপাড়ার হাসপাতাল পরে নীল রতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। এদিন ঘটনাস্থলে যান শ্রীরামপুর সাংগঠনিক জেলা বিজেপি সভাপতি মোহন আদক। ভোট গণনার পর থেকে হুগলির নবাবপুর, ভগবতীপুর এলাকাতেও মারধর ভাঙচুর করা হয়। সব ক্ষেত্রেই শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ। অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। এই বিষয়ে বিজেপি নেতা মোহন আদক বলেন, নির্বাচনী ফলাফল বেরনোর পর জাঙ্গিপাড়া এলাকায় যে হিংসার ঘটনা ঘটেছে তা অত্যন্ত দুঃখের। সাধারণ মানুষের বাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। হিংসা অবিলম্বে বন্ধ হওয়া দরকার। মুখ্যমন্ত্রীর প্ররোচনাতেই পশ্চিমবাংলায় সন্ত্রাসের সৃষ্টি। অথচ তার কোনও বক্তব্য নেই যেখানে মৃত্যুর সংখ্যা প্রায় ৫০ ছুঁই ছুঁই। সেখানে তিনি বলছেন, ১৯ জন মারা গিয়েছে। মৃত্যু নিয়েও বিভাজন করা হচ্ছে। ভারতবর্ষের রাজনীতিতে এরকম হিংসা কোনওদিন দেখা যায়নি। শুধুমাত্র ক্ষমতাকায়নের জন্য পশ্চিমবাংলায় এটা চলে। এই এলাকার প্রায় ১৫ থেকে ২০ টি বাড়িতে অত্যাচার চালানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, বোমার সুতলি দড়িও যত্রতত্র পরে রয়েছে। বাড়ির ছাদেও বোমা ফেলা হয়েছে। শাসকদল এই কাজ করেছে। অপরদিকে হুগলি সংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অরিন্দম গুঁইন বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস সন্ত্রাসে বিশ্বাসী নয়। মানুষ নিজেরা নিজেদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছে। তৃণমূল কংগ্রেসকে সন্ত্রাস করতে হয় না। আমাদের সঙ্গে মানুষ আছে। যারা অভিযোগ করছে যে তাদের ওপর আক্রমণ করা হয়েছে, সবটাই তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। যদিও প্রশাসন রাজনৈতিক হিংসা বন্ধ করতে তৎপর হয়ে উঠছে। পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা হয়। সবমিলিয়ে এই রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেড়ে এলাকার মানুষ আতঙ্কিত।