রায়গঞ্জ: ভোট পরবর্তী হিংসা অব্যাহত উত্তর দিনাজপুর জেলায়। নির্বাচনে জেতার পরই নির্দল সমর্থকদের মারধরের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তৃণমূল এবং নির্দল সমর্থকদের এই সংঘর্ষে আহত হয়েছে উভয়পক্ষের প্রায় ১০ জন। আহতদের রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বুধবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের সুরুন ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ডামডোলিয়া গ্রামে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্বাচনের দিন থেকেই এলাকায় চাপা উত্তেজনা ছিল। বুধবার তৃণমূল ওই এলাকায় একটি বিজয় মিছিল করে এবং রাতে হঠাৎই নির্দল সমর্থকদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এমনকী নির্দলকে সমর্থন করায় স্থানীয় এক হাতুড়ে ডাক্তার মহঃ আলিমুদ্দিন আহমেদকে বাড়িতে ঢুকে লোহার রড, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করা হয়। বাবাকে বাঁচাতে আসলে মেয়ে নাসিমা খাতুনকেও মারধর করে তৃণমূলের সমর্থকরা বলে অভিযোগ।
প্রসঙ্গত, ইটাহার ব্লকের সুরুন ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ডামডোলিয়া গ্রামে ১০ নম্বর বুথে তৃণমূলের প্রার্থী হন মুজাহিদ আলম এবং নির্দল প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন মুস্তাক আলম। অল্প ব্যবধানে জয়ী হয় তৃণমূল প্রার্থী মুজাহিদ আলম। তৃণমূল জয়ী হওয়ার পরেই নির্দল সমর্থকদের ওপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। যদিও তৃণমূল সমর্থকদের পাল্টা অভিযোগ ভোটে হেরে গিয়ে তাদের ওপরই লাঠিসোটা, ধারালো অস্ত্র নিয়ে চড়াও হয় নির্দল সমর্থকরা। এই সংঘর্ষের ঘটনায় দুই পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছে। তাদের রায়গঞ্জ গভর্মেন্ট মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। ঘটনায় আহত মহঃ আলিমুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, পেশায় তিনি একজন হাতুড়ে ডাক্তার। গন্ডগোলের খবর পেয়ে বাড়িতে গেলে, তৃণমূলের লোকেরা বাড়িতে ঢুকে তাকে এবং তার মেয়েকে মারধর করে। নির্দল প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কারণেই তার ওপর হামলা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। অপর এক নির্দল সমর্থক রেফাজুদ্দিন আহমেদ বলেন, ভোটে জিতেই নির্দল সমর্থকদের ওপরে আক্রমণ চালায় তৃণমূলের লোকেরা। তৃণমূলের প্রার্থী মুজাহিদ আলমের নেতৃত্বেই এ ঘটনা ঘটেছে। অপরদিকে, এই সংঘর্ষে আহত তৃণমূল সমর্থক কাজিমুল হক জানিয়েছেন, ভোটে হেরে যাওয়ার কারণে নির্দল সমর্থকরাই তাদের ওপরে হামলা চালায়। বাঁশ, লাঠি দিয়ে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ তার। ঘটনার খবর পেয়ে, ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ইটাহার থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং আহতদের উদ্ধার করে রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে আসে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে পুলিশ।