বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের নতুন পর্ব শুরু হল ভারতের। ওভালে গত ফাইনালে তাঁকে ছাড়াই একাদশ গড়েছিল ভারতের টিম ম্যানেজমেন্ট। ডমিনিকায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্টে প্রথম সেশনে নায়ক সেই রবিচন্দ্রন অশ্বিনই। টস হেরেছিল ভারত। টিম ইন্ডিয়ায় জোড়া অভিষেক হয়েছে এই ম্যাচে। যশস্বী জয়সওয়ালের সঙ্গে ডমিনিকায় ডেবিউ করলেন ঈশান কিষাণও। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম ক্যাচও নিলেন। নতুন বলে স্পেল শুরু করেন মহম্মদ সিরাজ। উল্টোদিকে তাঁর সঙ্গা বাঁ হাতি পেসার জয়দেব উনাদকাট। সতর্ক শুরু করেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই ওপেনার অধিনায়ক ক্রেগ ব্রেথওয়েট ও তেজনারায়ণ চন্দ্রপল। মহম্মদ সিরাজ সুইংও করাচ্ছিলেন। উনাদকাটও অনবদ্য লাইন-লেন্থে বোলিং করেন। বেশ কিছু ক্ষেত্রে ইনসাউড, আউটসাইড এজ হয়নি। অবশেষে ব্রেক থ্রু দেন অফস্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ইনিংসের ১৩তম ওভারে ক্লিন বোল্ড করেন তেজনারায়ণ চন্দ্রপলকে। আর এক ওপেনার অধিনায়ক ক্রেগ ব্রেথওয়েট কার্যত নিজের উইকেট উপহার দিয়ে আসেন। টেস্ট ক্রিকেটে রানের প্রথম শর্তই ক্রিজে পড়ে থাকা। কিন্তু ডট বলের চাপ নিতে পারলেন না। মিড অন-মিড উইকেটের ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন। অশ্বিনের বোলিংয়ে মিস হিট হওয়া মানেই চাপ। সেটাই হল। বল উঁচুতে, সহজ ক্যাচ রোহিত শর্মার। ভারতকে তৃতীয় সাফল্য দেন লর্ড শার্দূল। আক্রমণে এসেই উইকেট। ড্রাইভ করেছিলেন বাঁ হাতি ব্যাটার রেমন রেইফার। কিন্তু ব্যাটের কানায় লাগে। টেস্ট কেরিয়ারে প্রথম ক্যাচ ঈশান কিষাণের। নীচু হয়ে আসা বলে অনবদ্য ক্যাচ। ক্লিন ছিল কীনা দেখার জন্য তৃতীয় আম্পায়ারের কাছে সিদ্ধান্ত যায়। তাতে সমস্যা হয়নি। লাঞ্চ ব্রেকের আগে আরও একটা উইকেট নিতে পারলে…। প্রত্যাশা পূরণও হল। লাঞ্চ ব্রেকের আগে শেষ ডেলিভারিতে উইকেট এল। রবীন্দ্র জাডেজার ফ্লাইট ডেলিভারি। অনেকটা দৌড়ে অনবদ্য ক্যাচ মহম্মদ সিরাজের। ব্ল্যাকউডের উইকেট নিয়েই লাঞ্চ ব্রেকে ভারত। প্রথম সেশনে ২৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬৮ রান করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস শেষ হয় ১৫০ রানে৷ জবাবে ভারত ব্যাট করতে নেমে ১১ ওভারে বিনা উইকেটে করেছে ৪৫ রান৷ দিনের খেলা শেষ হতে আরও বেশ কিছু ওভার বাকি৷