নিজস্ব প্রতিবেদন, পূর্ব বর্ধমান: রবিবার বিকেলে মৃত রাজিবুলের দেহ আনা হয় বর্ধমান জেলার সিপিএম পার্টি অফিসে। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা।
এদিন তাঁকে জেলা পার্টি অফিস শেষ শ্রদ্ধা জানানোর পর জেলা পার্টি অফিস থেকে এক শোক যাত্রা করে পার্কাস রোড পর্যন্ত আনা হয় এবং তারপর সেখান থেকে তার মৃতদেহ বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। এদিন মহন্মদ সেলিম বলেন, ‘শুধু রাজিবুল নয়, যে কোনও মৃত্যুই দুখঃজনক। দল মত নির্বিশেষে সব মানুষই এই মৃত্যু মিছিলে প্রতিবাদ জানিয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন এই মৃত্যু মিছিল করল। মুখ্যমন্ত্রী নিজে উসকানি দিয়েছিলেন, যাতে বাক্স, ভোট লুঠ হয়, এখনও সেই কাজের জন্য ওনারা ব্যস্ত। মানুষ এই রাজ্যে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনবে এরকম শহিদের মৃত্যু বৃথা যাবে না।’
প্রসঙ্গত, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগের দিন রাজনৈতিক উত্তাপে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম। শুক্রবার সেখানে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস ও সিপিএমের সংঘর্ষে গুরুতর আহত হন ৩২ বছরের সিপিএম কর্মী শেখ রাজিবুল হক। ওই দিন তাঁকে প্রথমে বর্ধমান হাসপাতালে আনা হয়। এরপর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কলকাতার এনআরএসে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই শনিবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।