হুগলি: পঞ্চায়েত নির্বাচনে গুলি চালানো থেকে বোমাবাজি, সন্ত্রাস, লুঠপাট, ব্যালট বক্স জলে ফেলা, ব্যালট বক্সে আগুন জ্বালা সবই দেখেছে আরামবাগবাসী। সারা মহকুমা জুড়েই চাপা আতঙ্ক ও রাজনৈতিক উত্তেজনা রয়েছে। এই রকম এক পরিস্থিতিতে পুনর্র্নির্বাচন নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক করলেন আরামবাগ মহকুমা প্রশাসন। এদিন আরামবাগ মহকুমা প্রশাসন নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে এই বৈঠক হয়। বৈঠকে সিপিএম, তৃণমূল, বিজেপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বিভিন্ন বুথে পুনর্র্নির্বাচনের জন্য দাবি জানান। প্রশাসনের তরফ থেকে নির্বাচন কমিশনের অবজারভার ও ডিআরও সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, আরামবাগ মহকুমা জুড়ে মোট ২৪ টা বুথে পুনর্নির্বাচন হবে। খানাকুল দুই নম্বর ব্লকে ১২টি বুথ, আরামবাগ ব্লকে ৫ টি বুথ, পুরশুড়া ব্লকে ২টি বুথ, গোঘাট এক নম্বর ব্লকে ২ টি বুথ, গোঘাট দুই নম্বর ব্লকে ৩টি বুথে ভোট হবে। এই বিষয়ে আরামবাগের সিপিএম নেতা পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায় বলেন, সিপিএমের পক্ষ থেকে ৩১টি বুথে রিপোলের জন্য আবেদন করা হয়। কিন্তু উনারা দুটি বুথের রি-পোলের আবেদন গ্রহণ করেন। কিন্তু আমরা বুথের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখার আবেদন করি। কেননা প্রতিটি বুথেই সিসিটিভি দেখলেই প্রকৃত সত্য সামনে আসবে। কিন্তু উনারা বিষয়টি এড়িয়ে যাচ্ছেন। প্রকৃত সত্য সামনে আনতে চাইছেন না।
অপরদিকে পুড়শুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, বিজেপির পক্ষ থেকে আমরা রি-পোলের আবেদন করেছি। আরামবাগ মহকুমায় যেখানে অবাধে ছাপ্পা হয়েছে সেইসব জায়গাতেই আমরা রি-পোল চাইছি। এবার নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেবে। যদি বিশেষ সূত্রে জানা যাচ্ছে, আরামবাগের বিধায়ক মধুসূদন বাগ তিরোল, গৌরহাটি ২ ও সালেপুর দু’নম্বর অঞ্চলের প্রতিটা বুথেতে ছাপ্পা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন এবং রি-পোলের দাবি জানান। অপরদিকে আরামবাগ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শিশির সরকার বলেন, শনিবার অবাধ ও শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে। পুনর্নির্বাচন নিয়ে আলোচনা চলছে। আরামবাগ ব্লকে মোট ছটি বুথে পুনর্নির্বাচন হবে। অন্যদিকে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আরামবাগ মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মহকুমার ২৮টি বুথে পুনর্নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়েছে। এখন দেখার শেষ পর্যন্ত সোমবার আরামবাগ মহকুমা জুড়ে কটি বুথে রি-পোল হয়।