ম্যাচের দ্বিতীয় দিন মনে হয়েছিল তিন দিনেই শেষ হয়ে যাবে ম্যাচ। তৃতীয় দিন বাধা হয়ে দাঁড়াল বৃষ্টি। দুটো সেশন বৃষ্টিতে পণ্ড। নয়তো এ দিনই ম্যাচ হয়ে যেত। এজবাস্টন এবং লর্ডসে জিতে সিরিজে এগিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। হেডিংলি টেস্টে পাল্লা ভারী ইংল্যান্ডের। ভরসা সেই বেন স্টোকস। প্রথম ইনিংসে তাঁর ৮০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস না হলে হয়তো আরও বড় লক্ষ্য তাড়া করতে হত ইংল্যান্ডকে। প্রথম ইনিংসে ২৬৩ রান করে অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে শতরানের বিধ্বংসী ইনিংস মিচেল মার্শের। সেই ইনিংস না থাকলে আরও ব্যাকফুটে থাকত অজিরা। ইংল্যান্ডও প্রথম ইনিংসে সুবিধা করতে পারেনি। প্যাট কামিন্স বল হাতে বিধ্বংসী ভূমিকা নেন। মনে হয়েছিল, প্রথম ইনিংসে বড় লিড নেবে অস্ট্রেলিয়া। তবে বেন স্টোকস হঠাৎই বিধ্বংসী রূপ নেন। প্রথম ইনিংসে ২৩৭ রান করে ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার টপ অর্ডার দ্বিতীয় ইনিংসে ভালো শুরু দিতে ব্যর্থ। দ্বিতীয় দিনের শেষে মিচেল মার্শ এবং ট্রাভিস হেড জুটি ভরসা দেন। তৃতীয় দিন বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে মার্শের উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। সেখান থেকেই বিপর্যয়। ২৮ রানে ফেরেন মার্শ। মিডল ও লোয়ার অর্ডার ভরসা দিতে ব্যর্থ। উপায় না দেখে বেন স্টোকসের মতো গ্রুত রান তোলায় মন দেন ট্রাভিস হেড। শেষ অবধি ৭৭ রানের অনবদ্য ইনিংস হেডের। অস্ট্রেলিয়ার দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২২৪ রানে। স্টুয়ার্ট ব্রড, ক্রিস ওকস তিনটি করে উইকেট নেন। মার্ক উড ও মইন আলির দখলে দুটি করে উইকেট। চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডের লক্ষ্য দাঁড়ায় ২৫১ রান। এ দিন মাত্র ৫ ওভার ব্যাটিংয়ের সুযোগ পায় ইংল্যান্ড। জ্যাক ক্রলি এবং বেন ডাকেটের ওপেনিং জুটি ফের বাজবল ক্রিকেটে মন দেন। ৫ ওভারে ২৭ রান তুলে নিয়েছে ইংল্যান্ড। ক্রলি ১১ বলে ৯ এবং ডাকেট ১৯ বলে ১৮ রানে রয়েছেন। ইংল্যান্ডের আর চাই ২২৪ রান।