রায়গঞ্জ: ভোট চলাকালীন বুথ চত্বরে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে মৃত্যু হল মহম্মদ শাহেনশা (৩৮) নামে এক তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীর। এই সংঘর্ষে আহত হয়েছে উভয়পক্ষের ১৫ জন। জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। এদিন দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর জেলার চাকুলিয়া থানার ২ নম্বর বিদ্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেবরা গ্রামের ১৯২ বুথে। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন চাকুলিয়া থানার পুলিশ। রক্তাক্ত অবস্থায় মহম্মদ শাহেনশা-সহ আহতদের প্রথমে চাকুলিয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। তাকে কিষানগঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর দিনাজপুর জেলার চাকুলিয়া থানার ২ নম্বর বিদ্যানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভেবরা গ্রামের বাসিন্দা মহম্মদ শাহেনশা, তিনি এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন। সকাল থেকে ওই এলাকায় ভোট ঠিক মতোই চলছিল। ভেবরা গ্রামের ১৯২ বুথে যখন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মহম্মদ শাহেনশা বুথের বাইরে আসতেই কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন। কংগ্রেস কর্মীদের সঙ্গে মহম্মদ শাহেনশা ও তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। ওই সংঘর্ষ চলাকালীন ধারালো আস্ত্রের আঘাতে গুরুতর আহত হয় মহম্মদ শাহেনশা। রক্তাক্ত অবস্থায় তিনি মাটিতে পড়ে যান। তড়িঘড়ি প্রথমে তাকে চাকুলিয়া ব্লক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে মহম্মদ শাহেনশা অবস্থা অবনতি থাকায় তাকে কিষানগঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়ার পরে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য কিষানগঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে থেকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালা জানিয়েছেন, ‘মহম্মদ শাহেনশার স্ত্রী ওই পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধান ছিল। এবার তার স্বামীকে দলের পক্ষ থেকে প্রার্থী করা হয়েছে। দিনের শুরু থেকে অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবেই ভোটগ্রহণ চলছিল। ওই পঞ্চায়েতে বিরোধীদের কোনও অস্তিত্বই নেই। এই রাগের বশেই কংগ্রেসের দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করেই সশস্ত্র অবস্থায় এই আক্রমণ করেছে। দুষ্কৃতীদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।