উৎসবের মেজাজে ভোট করাতে এসেছেন ভোট কর্মীরা। আতঙ্ক নয়, রয়েছে কৌতূহল। আদৌ আদালতের নির্দেশ মেনে সব বুথে আধা সেনা দেওয়া যাবে? পুরুলিয়ায় ভোট মানে পরব। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা না থাকায় এই পরবের পরিবেশ কি বিঘ্নিত হবে? প্রশ্ন ভোট কর্মীদের। রাত পার হলেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে পুরুলিয়ার ২০টি ব্লকের ব্যালট ডিস্ট্রিবিউশন কেন্দ্র থেকে ভোট কর্মীরা ভোট কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা দিতে যাওয়ার আগে এ কথা জানান। এদিন পুরুলিয়ার মানভূম ভিক্টোরিয়া ইনস্টিটিউশনে কোনও কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখা যায়নি। আর তাতেই কৌতূহল গ্রাস করেছে ভোট কর্মীদের।
নির্বাচন দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, মোট ১৫ হাজার ভোটকর্মী পুরুলিয়া জেলার ২৪০৫ টি বুথে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অংশ নিচ্ছেন। এখনো পর্যন্ত মোট ২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পুরুলিয়া জেলায় এসেছে ও আরো ১১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসছে। জেলার মোট ২৪০৫ টি বুথের মধ্যে ২৩১১ টি বুথে সিসিটিভি থাকছে ও বাকি ৯৪ টি বুথে ভিডিওগ্রাফি হবে। পুরুলিয়ায় ভোট পরবের সংস্কৃতিকে উত্তরাধিকার সূত্রে বয়ে নিয়ে যেতে চান শিক্ষক তথা জেলার বিশিষ্ট কবি প্রদ্যোত আশ। তিনি বলেন, আমাদের পুরুলিয়ায় রাজনীতি ঘিরে হানাহানি ছিল না। ছিল না রক্তপাত। বড় শান্তিপ্রিয় জায়গা ছিল আমাদের পুরুলিয়া। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যেও সেই পুরুলিয়া বেঁচে থাকুক।