কেরিয়ারের শততম টেস্টে নেমেছেন অস্ট্রেলিয়ার এই অফস্পিনার। কিন্তু প্রথম ইনিংসেই চোট পান। আর বোলিং করতে পারেননি। দ্বিতীয় ইনিংসেও বোলিংয়ের সম্ভাবনা নেই। মনে করা হয়েছিল, তাঁকে ছাড়া বড় সমস্যায় পড়বে অজিরা। যদি টিম গেমে তা হতে দেয়নি। সতীর্থদের তাতিয়েছে নাথান লিয়ঁর ব্যাটিংয়ে নামা। চাইলে নাও নামতে পারতেন। কিন্তু পায়ে চোট নিয়ে কোনওরকমে খোড়াতে খোড়াতে মাঠে এলেন, মিচেল স্টার্কের সঙ্গে ৩১ বলে ১৫ রান যোগও করলেন। অস্ট্রেলিয়ার জয় যেন সময়ের অপেক্ষা। তৃতীয় দিনের শেষে ২২১ রানে এগিয়ে ছিল অস্ট্রেলিয়া। ১৩০-২ স্কোর থেকে চতুর্থ দিন শুরু করে অস্ট্রেলিয়া। উসমান খোয়াজা সর্বাধিক ৭৭ রান করেন। মিডল ও লোয়ার অর্ডারে সেট হলেও কেউ বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ। দ্বিতীয় ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে ২৭৯ রানে অলআউট করে ইংল্যান্ড। স্টুয়ার্ট ব্রড চার উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট নিয়েছেন জশ টং ও ওলি রবিনসন। ইংল্যান্ডের জন্য জয়ের লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৭১ রান। ইংল্যান্ডের বাজবল স্টাইল এই সিরিজে এখনও ভরসা দিতে পারেনি। না হলে হয়তো বলা যেত, এই রান তোলা ইংল্যান্ডের কাছে কোনও ব্যাপারই নয়। কিন্তু বর্তমানে তা বলা যাচ্ছে না। নিজের পরপর দু ওভারে ওপেনার জ্যাক ক্রলি এবং তিনে নামা ওলি পোপকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ড শিবিরে বড় ধাক্কা দেন অস্ট্রেলিয়ার বাঁ হাতি পেসার মিচেল স্টার্ক। জো রুট এবং হ্যারি ব্রুককে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স। ৪৫ রানে ৪ উইকেট হারানো ইংল্যান্ডকে ভরসা দিচ্ছে বেন-বেন জুটি। ওপেনার বেন স্টোকস অর্ধশতরানে ক্রিজে রয়েছেন। উল্টোদিকে অধিনায়ক বেন স্টোকস খেলছেন ২৯ রানে। শেষ দিন ইংল্যান্ডের চাই আরও ২৫৭ রান। পাল্লা ভারী অস্ট্রেলিয়ারই।