তৃণমূল নেতার মাথায় উর্দিধারী পুলিশ কর্মীর ছাতা ধরার ভিডিও, সমালোচনা বিরোধী দলনেতার

নিজস্ব প্রতিবেদন, কাঁকসা: প্রবল বৃষ্টির মধ্যে তৃণমূল নেতার মাথায় উর্দিধারী পুলিশ কর্মীর ছাতা ধরার ভিডিও নিয়ে শোরগোল রাজ্যজুড়ে।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দুপুরে আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে তৃণমূলের প্রার্থীদের সমর্থনে জনসভা অনুষ্ঠিত হয় পানাগড় বাজারে। জনসভায় উপস্থিত ছিলেন পশ্চিম বর্ধমান জেলার তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা সহ জেলা নেতৃত্ব। প্রবল বৃষ্টির মধ্যে সেই জনসভায় বক্তব্য রাখার সময় তৃণমূল নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায়ের পিছনে দাঁড়িয়ে থাকা উর্দিধারী পুলিশ কর্মী ছাতা ধরে দাঁড়িয়েছিলেন। সেই ছাতার নীচে দাঁড়িয়েছিলেন তৃণমূল নেতা প্রভাত চট্টোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার রাতে টুইটারে সেই ভিডিও পোস্ট করে ঘটনার তীব্র নিন্দা জানানোর পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুক্রবার সকাল থেকে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শুক্রবার সকাল থেকে কাঁকসা জুড়ে শুরু হয় রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির কাঁকসা ২ নম্বর মণ্ডলের সভাপতি ইন্দ্রজিৎ ঢালি জানান, তাঁরা আগে থেকেই অভিযোগ করে আসছিলেন যে পুলিশ তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে রাজ্যজুড়ে বিরোধীদের দমন করে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং বিশেষ করে বিজেপির কণ্ঠরোধ করছে তৃণমূল। তিনি বলেন, ‘এই কলঙ্কজনক দৃশ্য শুধুমাত্র ভারতবর্ষের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই দেখা যায়।’
কাঁকসা ব্লকের তৃণমূলের সহ-সভাপতি হিরন্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, প্রভাত চট্টোপাধ্যায় মঞ্চে দাঁড়িয়ে বক্তব্য রাখছিলেন। সেই সময় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়ে যাওয়ার ফলে তাঁর দেহরক্ষী নিজের মাথা বাঁচানোর জন্য ছাতা ধরে দাঁড়িয়েছিলেন স্টেজের ধারে। প্রভাত চট্টোপাধ্যায় তাঁর দেহরক্ষীর ছাতার তলায় আশ্রয় নিয়েছিলেন। কোনও নেতার মাথায় যদি ছাতা ধরা হত, তাহলে তিনি তা¥র হাত বাড়িয়ে নেতার মাথায় ছাতা ধরতেন। ভিডিওতে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে, দেহরক্ষী তাঁর নিজের মাথা বাঁচানোর জন্য ছাতা ধরে আছেন। শুভেন্দু অধিকারীর সকাল থেকে কোনও কাজকর্ম নেই, তিনি শুধু তৃণমূলের খুঁত ধরে বেড়ান। একটা ভালো কাজ তিনি করেন না। শুভেন্দু অধিকারী একটা বোগাস লোক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

thirteen − 12 =