কবে হবে ব্রিজ, অপেক্ষায় বিষ্ণুপুরের ২৫-৩০টি গ্রামের মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদন, বিষ্ণুপুর: ভোট আসে ভোট যায়। বছরের পর বছর এলাকার মানুষের নরক যন্ত্রণা রয়েই যায়। কবে হবে নদীর ব্রিজ, সেদিকেই তাকিয়ে ২৫ থেকে ৩০টি গ্রামের মানুষ। বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী ব্লকের পিয়ারবেড়া পঞ্চায়েতের বড়চাতড়া গ্রামেরû পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে শালী নদী। নদীর অপর প্রান্তে নিমতলা। এই নদীর ওপর দিয়ে বছরের পর বছর জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হয় এলাকার ছাত্রছাত্রী থেকে কৃষক মুমূর্ষ রোগী থেকে শুরু করে সকল মানুষকে। এলাকার মানুষের দাবি, এটিই একমাত্র তাঁদের যোগাযোগের পথ, যে রাস্তা দিয়ে এলাকার ২৫ থেকে ৩০টি গ্রামের মানু¡ প্রতিনিয়ত নদী পার হয়ে বাঁকুড়া জেলার সদর শহরে যাতায়াত করেন, এমনকি সোনামুখী হাসপাতাল সরকারি দপ্তরগুলিতেও এই নদী পেরিয়েই যেতে হয় এলাকার মানুষকে।
তৃণমূলের দাবি, সোনামুখী বিধানসভা এলাকায় ইতিমধ্যেই শালী নদীর ওপর ছয় থেকে সাতটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। এই ব্রিজের প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে, ব্রিজ হবে তবে এলাকার বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ কোথায়? এদিকে, তৃণমূলের এই প্রতিক্রিয়ার জবাব দিতে ছাড়েননি সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘরামি। ৩৪ বছর সিপিএম সরকার এবং ১২ বছর তৃণমূল সরকার রয়েছে, এতদিনেও কেন ব্রিজ হল না? প্রশ্ন তুলছেন তিনি। বিধায়কের দাবি, ইতিমধ্যেই ওই ব্রিজের সমস্যার কথা তিনি বিধানসভায় তুলেছিলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে এলাকায় ইঞ্জিনিয়ার এসে পরিদর্শনও করে গিয়েছেন। আর তৃণমূল বিভিন্ন জায়গায় দরখাস্ত নিয়ে গিয়ে বলছে, তারা ব্রিজ করে দেবে। তিনি বলেন, ‘এলাকার সমস্যা রয়েছে বলেই ব্রিজটার কথা বিধানসভায় তুলেছি। আগামী দিনে ব্রিজটা নিয়ে আরও আন্দোলন হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × 3 =