মণিপুরে শান্তি ফেরাতে ২৪ জুন সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন অমিত শাহ

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের পরেও মণিপুরে থামছে না হিংসা। অশান্তির আগুনে পড়ুছে মণিপুর । গোষ্ঠীহিংসার জেরে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ১১৫ জনের। ঘরছাড়া ৪০ হাজারেরও বেশি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে উত্তপূর্বের রাজ্যে শান্তি ফেরাতে সর্বদলীয় বৈঠকের দাবি জানিয়েছিল বিরোধীরা। অবশেষ সেই দাবি মান্যতা পেল। মণিপুর নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ২৪ জুন সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন অমিত শাহ।

গত মে মাসের শুরুতে মণিপুরে সংরক্ষণ নিয়ে মেতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছিল, তা মাস পার করেও জারি রয়েছে। মণিপুরে অশান্তি নিয়ে এই প্রথম সর্বদলীয় বৈঠকে বসা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ২৪ জুন দুপুর ৩টে নাগাদ দিল্লিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দপ্তরেই এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মণিপুরের সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলিকে এই বৈঠকে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, বুধবারই হিংসা বিধ্বস্ত মণিপুরের নয়জন বিজেপি বিধায়ক প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে তাঁরা জানান যে মণিপুরের সাধারণ মানুষ মুখ্য়মন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সরকারের উপরে আস্থা হারিয়েছে। সরকার ও প্রশাসনের সমালোচনা করে চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঁচটি দাবি জানিয়েছেন তাঁরা। জানা গিয়েছে, যে নয়জন বিধায়ক মিলে চিঠি লিখেছেন, তাঁরা সকলেই মেতেই জনগোষ্ঠীর।

গত ৩ মে থেকে জাতি হিংসায় জ্বলছে মণিপুর। হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না কুকি এবং মেইতেই জনগোষ্ঠীর সংঘর্ষ। সম্প্রতি মণিপুর সরকারের এক রিপোর্ট বলা হয়েছে, রাজ্যে মায়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ ঘটছে। প্রায় ২ হাজার অনুপ্রবেশকারী রয়েছে রাজ্যে। ভারতের জমিতে রীতিমতো গ্রাম বানিয়ে ফেলেছে তারা। সরকারের বহু চেষ্টা সত্ত্বেও নির্দিষ্ট শিবিরে যেতে চাইছে না তারা। জনজাতি বিষয়ক এবং পাহাড় উন্নয়ন মন্ত্রী লেটপাও হাওকিপের নেতৃত্বে থাকা সাব কমিটির রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ২৯ মার্চ ও ১ এপ্রিল সেনাপতি ও চূড়াচাঁদপুর জেলায় অবৈধ অনুপ্রবেশকারীদের সঙ্গে দেখা করেছেন তাঁরা। ২৪ এপ্রিল দাখিল করা ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, রাজ্যের ৪১টি এলাকায় ২ হাজার ১৮৭ জন অনুপ্রবেশকারী রয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

9 − 3 =