অনলাইনে স্মার্টফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার খোদ রাজ্য পুলিশের কর্মী, ধৃত ২

অনলাইনে স্মার্টফোন কিনতে গিয়ে প্রতারণার শিকার এবার খোদ রাজ্য পুলিশেরই এক কর্মী। রাজ্য পুলিশের এই কর্মী সৌম্যদেব পাত্র পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা। রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে খবর, গত ২০২২-এর ২ ডিসেম্বর তিনি শাওমি-র ওয়েবসাইটে গিয়ে অনলাইনে একটি ফোনের অর্ডার দেন।এর জন্য তাঁর এসবিআই ক্রেডিট কার্ড থেকে ২০, ৫৮৯টাকা কেটেও নেওয়া হয়। তবে ই ফোন এসে পৌঁছায়নি সৌম্যদেববাবুর হাতে। এরপরই তিনি সমগ্র ঘটনা জানিয়ে ২০২২-এর ৯ ডিসেম্বর একটি অভিযোগ দায়ের করেন সিআইডির সাইবার ক্রাইম বিভাগে। সৌম্যদেববাবুর অভিযোগ পাওয়ার পরই ভারতীয় দণ্ডবিধিতে ৪১৯, ৪২০, ৪০৬ এবং ১২০ বি ধারায় মামলাও রুজু হয়। পাশাপাশি তদন্তেও নামেন সিআইডি-র আধিকারিকেরা। এরপরই জম্মু-কাশ্মীরের বারামুল্লা থেকে এই ফোনটি উদ্ধার করেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।এরপর তদন্ত চালিয়ে গত ১৪ জুনের মধ্যরাতে পঞ্জাবের পাতিয়ালা এবং ভাতিণ্ডা থেকে দুইজনকে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে গ্রেপ্তারও করা হয়।রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে খবর, ডিম্পি এবং করণ গুপ্তা। ডিম্পি পাতিয়ালার পূর্বিয়া স্ট্রিটের বাসিন্দা এবং করণের বাড়ি ভাতিণ্ডার কোটওয়ালি থানার মল রোডে।তদন্তে নেমে রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দা দপ্তরের আধিকারিকেরা জানতে পারেন, অভিযুক্তরা নিজেদের ব্যাঙ্ক কর্মী হিসাবে পরিচয় দিয়ে সাধারণ মানুষকে প্রতারিত করত।এরপর প্রতারিত অর্থ ব্যবহার করে ই-কমার্স সাইট থেকে সেল ফোন ক্রয় করার পাশাপাশি জাল রসিদ তৈরি করে নিরীহ গ্রাহকদের কাছে তা আবার বিক্রি করত।
রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশ সূত্রে এ খবরও মিলেছে, উভয় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গত ১৫ জুন পাতিয়ালা এবং ভাতিণ্ডার আদালতে হাজির করে ট্রানজিট রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়। রাজ্য গোয়েন্দা পুলিশের আর্জি মেনে অভিযুক্তদের ট্রানজিট রিমান্ডের অনুমতিও দেয় আদলত। এরপর সোমবার এই দুই ধৃতকে এসিজেএম আলিপুরে হাজির করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

2 × 1 =