তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন- কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের দ্বারস্থ বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। শান্তনু ঠাকুরের অভিযোগ, অভিষেক কাউকে না জানিয়ে মতুয়া মহা সংঘের মন্দিরের সামনে মিছিল করেন। তৃণমূলের দলবল নিয়ে মন্দিরে ভিড় করেন। এমনকি অভিষেকের লোক ভক্তদের হুমকি দেন বলেও অভিযোগ। এই নিয়ে মন্দিরের তরফে অভিযোগ জানালেও সেটা নিয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি প্রশাসন। উল্টে ওই দিনের ঘটনায় মন্দির কমিটি-সহ ভক্তদের বিরুদ্ধে পাঁচটি এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। বেশ কয়েকজন ভক্তকে গ্রেপ্তারও করা হয়। তারই বিহিত চেয়ে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলা দায়ের করেন শান্তনু ঠাকুর। প্রসঙ্গত, তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেকের ঠাকুরবাড়ি যাওয়া নিয়ে গত শনিবার তপ্ত হয়ে ওঠে বাংলার রাজনীতি। এদিকে আদালত সূত্রে খবর, মামলা দায়ের করার অনুমতি মিলেছে। মঙ্গলবার সম্ভবত এই মামলার শুনানি।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার কয়েকশো পুলিশ নিয়ে ঠাকুরনগরের মতুয়া ধামের কাছে মিছিল করতে চেয়েছিলেন অভিষেক। সকাল থেকে ঠাকুরবাড়ির সামনে ভিড় করেছিলেন কয়েকশো তৃণমূল কর্মী সমর্থক। আর তাতে সম্মতি ছিল না মতুয়া সম্প্রদায়ের। স্পষ্টতই মতুয়াধামে আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে যায় তৃণমূল-বিজেপি সমর্থকরা। তা নিয়েই শুরু হয় তর্কাতর্কির পালা। যা পরে রীতিমতো রণক্ষেত্রের চেহারা নেয়। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, যে ঠাকুরবাড়ির মূল মন্দিরের ফটক বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফলে বিকালে যখন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঠাকুরবাড়ি পৌঁছন, তিনি মন্দিরে ঢুকতেই পারেননি। এরপর পাশে আরেকটি মন্দিরে পুজো দেন তিনি। ঠাকুরবাড়িতে অভিষেকের জন্য তৈরি তোরণও ভেঙে ফেলার অভিযোগ ওঠে। পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগও ওঠে।
এখানেই শেষ নয়। অশান্তি, মারপিটের রেশ মতুয়াধাম ছেড়ে গিয়ে পড়ে হাসপাতালেও। আহতদের দেখতে গিয়ে হাসপাতালের দুপক্ষের সমর্থকরা সংঘর্ষে জড়ান। ধস্তাধস্তির মাঝে পড়ে আহত হন বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়াও। সেদিন মতুয়া গড় ঠাকুরনগর থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘মতুয়া ধাম কারোর পৈত্রিক সম্পত্তি নয়। আমি তিন মাস পর আবার আসব। পারলেন আটকান।‘ এবার এই ঘটনায় মতুয়াধামের জল গড়াল হাইকোর্টে।