কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রশ্নে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মামলা করেন কংগ্রেস নেতা আবু হাসেম খান চৌধুরীও। কারণ, কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ ছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। তবে কমিশন সেই নির্দেশ মানেনি। এই ইস্যুতেই বিরোধী শিবির থেকে আদালত অবমাননার অভিযোগ তোলা হয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি, আদালতের নির্দেশ ছিল মনোনয়নপত্র জমা থেকে কাউন্টিং , গোটা প্রক্রিয়ার ভিডিয়োগ্রাফি করতে হবে এবং সিসিটিভি বসাতে হবে। সেই নির্দেশও পালন হয়নি বলেও অভিযোগ জানিয়েছে বিরোধী শিবির। এদিকে আদালত সূত্রে খবর, কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ।অন্যদিকে, বাহিনী মোতায়নের রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের রাজ্য নির্বাচন কমিশনের। মামলা দায়ের অনুমতি দিয়েছে শীর্ষ আদালত। মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতে শুনানি রয়েছে এই মামলার।
এদিকে সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে কংগ্রেস নেতা আবু হাশেম খান চৌধুরীর আইনজীবীও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে প্রধান বিচারপতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, ১৩ জুন ভিডিয়োগ্রাফির নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নির্বাচন কমিশন তা মানছে না। আর এই প্রসঙ্গেই কংগ্রেস নেতা আবু হাশেম খান চৌধুরীর আইনজীবীর আর্জি, আদালত অবমাননার মামলা দায়েরের অনুমতি দিক এক্ষেত্রেও মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি ডিভিশন বেঞ্চ।
প্রসঙ্গত, মনোনয়ন জমা ঘিরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে অশান্তির খবর আসতেই বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের নজরে আনেন বিরোধীরা। এরপরই রাজ্যের একাধিক জায়গায় অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। তবে কোন কোন জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে, কোন কোন এলাকা স্পর্শকাতর, তা নিয়ে কিছুটা বিভ্রান্তি ছড়ায়। মূলত, পূর্ব মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি ও জলপাইগুড়িতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের কথা বলা হয়। আদালতের নির্দেশ ছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী চেয়ে কমিশন রাজ্য সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। সেই মোতাবেক বাহিনী পাঠাবে কেন্দ্র। তবে এই মামলার শেষ শুনানিতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য সওয়াল করা হয়েছিল, পঞ্চায়েত নির্বাচনের নিরাপত্তার জন্য অন্যান্য রাজ্য থেকে ১৫ ব্যাটেলিয়ন পুলিশ কর্মী চাওয়া হয়েছে।