সোমবার সকালে জোড়া রহস্যমৃত্যু কেষ্টপুরের প্রফুল্ল কাননে ঐক্যতান হাউসিং সোসাইটিতে। ‘গঙ্গা-যমুনা’ অ্যাপার্টমেন্টের তিনতলার এক ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় দুই মহিলার দেহ। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই দুই মহিলা সম্পর্কে মা ও মেয়ে। মেয়ের নাম সুদেষ্ণা রায় এবং মায়ের নাম গোপা রায়। তাঁরা গোপা রায়ের দাদার সঙ্গে ওই ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগুইআটি থানার পুলিশ। কী কারনে এই মৃত্যু তা খতিয়ে দেখছে বাগুইআটি থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, ফ্ল্যাটের দরজার তালা ভেঙে মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের প্রাথমিক ধারনা, বিষক্রিয়ার জেরে হয়ে মৃত্যু হতে পারে অথবা হয়ে থাকতে পারে আত্মহত্যার ঘটনাও। এদিকে বাগুইআটি থানার পুলিশের তরফ থেকে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়।পাশাপাশি বাড়িতে সদস্যদের মধ্যে কোনও অশান্তি ছিল কিনা সেই বিষয়েও জানার চেষ্টা চলছে। এই বিষয়ে পাড়া প্রতিবেশী ও নিরাপত্তারক্ষীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। রবিবার রাতে ওই দুই মহিলা কি খাবার খেয়েছিলেন, আর তাতে বিষ মেশানো ছিল কিনা সেই নিয়েও তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।সব মিলিয়ে পুলিশ গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখছে। রাতে বাড়িতে কেউ ছিল কিনা, সেই বিষয়ে জানতে জিজ্ঞাসাবাদও চালানো হয় পুলিশের তরফ থেকে।
এদিকে গোপা রায়ের দাদা গৌতম দে জানান, ‘ সোমবার সকাল থেকেই গোপা এবং সুদেষ্ণাকে ফোনে পাচ্ছিলাম না। তারপর আমি আবাসনের নিরাপত্তারক্ষী ও প্রতিবেশীদের খোঁজ নিতে বলি। তাঁরা এসে অনেকক্ষণ ডাকাডাকি করলেও কোনও সাড়াশব্দ মেলেনি। তারপর আমি আসি। এসে দেখি দরজা বন্ধ। এরপর দরজা খুলে দেখা যায় দুজনের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে।’ ঠিক কী কারণে মৃত্যু বা ওই দুই মহিলা আত্মহত্যা করেছেন কিনা, এই বিষয়ে কিছুই জানেন না বলেই জানান গৌতম বাবু। গোপা রায়ের দাদা গৌতম দে বিধান নগর পুরসভার অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। রবিবার তিনি বাড়ির বাইরে ছিলেন।
এদিকে গোপা এবং সুদেষ্ণাদেবীর প্রতিবেশীরা জানাচ্ছেন, ‘ওনাদের বাড়ি থেকে কখনও চিৎকার বা অশান্তির খবর শুনিনি। এবার ভিতরে কি ব্যাপার ছিল তা জানা নেই।’