পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গ যেন বারুদের স্তূপে পরিণত হয়েছে। চোপড়া থেকে ভাঙড় ও মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম থেকে মালদায় সর্বত্র সন্ত্রাসের ছবি। এই রকম এক পরিস্থিতিতে হুগলির খানাকুল থেকে তাজা বোমা উদ্ধার। খানাকুলের নতিবপুর এলাকা থেকে তাজা ১৬ টি বোম উদ্ধার হয়। এমনটাই দাবি ওই এলাকার মানুষের। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নতিবপুরের একটি পাটখেত থেকে বোমগুলি উদ্ধার হয়। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। স্থানীয় মানুষের দাবি, পাট খেতের মধ্যে ড্রামভর্তি তাজা বোমা লোকানো ছিল। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বোমাগুলি উদ্ধার করে খানাকুল থানায় নিয়ে আসে। বোমা উদ্ধার প্রসঙ্গে খানাকুল বিজেপির দাবি ভোটের আগে এলাকায় অশান্তি করার জন্য তৃণমূল বোমাগুলি মজুত করে রেখেছিল। মূলত ভোটের সময় এলাকার মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করতে এবং সন্ত্রাস তৈরি করে ভোট লুঠ করার চক্রান্ত করছে তৃণমূল বলে অভিযোগ বিজেপি নেতৃত্বের। তবে এই নিয়ে তৃণমূলের দাবি, খানাকুলে বিজেপি বেশিরভাগ বুথে প্রার্থী দিতে পারেনি, সেজন্য সন্ত্রাসের আশ্রয় নিয়ে ওই বোমা গুলি মজুত করেছিল। বোমা উদ্ধারের ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছে এলাকার মানুষ। এই ঘটনা প্রসঙ্গে খানাকুল বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ জানান, তৃণমূল কংগ্রেস খানাকুলে ভোটকে প্রচন্ড ভয় পাচ্ছে। কারণ দীর্ঘ ৩৪ বছর যখন সিপিএম ক্ষমতায় ছিল তখন সিপিএম হতে দেয়নি, ঠিক তৃণমূল কংগ্রেসের আমলেও একই রকম অবস্থা হয়েছে। এই বছরেই আমাদের প্রায় ৯৮ শতাংশ বুথে প্রার্থী হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেস ভয় পাচ্ছে। অশান্তির বাতাবরণ তৈরি করার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন জায়গায় বোমা বন্দুক মজুত করছে। আমরা প্রশাসনের কাছে একটা কথাই বলতে চাই, প্রশাসন যদি সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে কিন্তু জনগণ রাস্তায় নামবে এবং প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। এই বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী জানান, বিজেপি মাঠেতে বোমা জোগাড় করে রাখছে। কেন না ওরা তো সব জায়গায় প্রার্থী দিতে পারেনি। বোম মজুত করছে। ভোটের দিন সন্ত্রাস করার চেষ্টা করবে। যতই সন্ত্রাস করার চেষ্টা করুক মানুষ পঞ্চায়েত ভোটে মা মাটি মানুষের সরকারের পাশে আছে। বোম উদ্ধারের ঘটনা নিয়ে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০-১২ টা বোম উদ্ধার হয়েছে। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু হয়েছে। সবমিলিয়ে এই নিয়ে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূল-বিজেপি মধ্যে রাজনৈতিক চাপান-উতোর দেখা গিয়েছে।