২০ জুন রাজভবনে পালিত হবে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’

আগামী ২০ জুন রাজভবনে পালিত হবে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’। ধনখড় বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালীন এই দিনটি প্রতি বছর পালন করা হত রাজভবনে। ধনখড়ের ইস্তফার পর লা গণেশন সাময়িক কালের জন্য রাজ্যপালের দায়িত্ব নেওয়ার পর তিনি এই দিনটি পালনের সুযোগ পাননি।এবার রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের সময় থেকে ফের শুরু হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন।
প্রসঙ্গত, গত নভেম্বরে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল হয়ে আসেন সিভি আনন্দ বোস। তাঁর সঙ্গে বাংলার বিজেপির সম্পর্ক ঠিক প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মতো এতো মধুর নয়। নানা সময়ে নানা অভিযোগ নিয়ে তাঁর কাছে গিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপির বিভিন্ন প্রতিনিধি দলকেও একাধিক বার রাজ্যপাল বোসের দ্বারস্থ হতে দেখা যায়। এদিকে আবার, বিপরীত অবস্থান নিয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আপাতত রাজভবনকে এড়িয়ে চলছেন। রাজ্য সরকারের সঙ্গেও রাজ্যপালের সম্পর্কের টানাপড়েন অব্যাহত। যদিও, ধনখড়ের সঙ্গে নবান্নের সংঘাত যে পর্যায়ে পৌঁছেছিল, তা এখনও বোসের আমলে দেখা যায়নি। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের আক্রমণের মুখে পড়তে দেখা যাচ্ছে সি ভি আন্দ বোসকেও।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’কে বিজেপির অ্যাজেন্ডা হিসাবেই দেখা হয়। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের নাম, বিজেপি যাঁর আদর্শে অনুপ্রাণিত। বিজেপির দাবি, শ্যামাপ্রসাদের নেতৃত্বেই ১৯৪৭ সালের ২০ জুন আনুষ্ঠানিক ভাবে ভারতের অংশ হিসাবে পশ্চিমবঙ্গে সিলমোহর পড়ে। সে দিন শ্যামাপ্রসাদপন্থী ৫৪ জন বিধায়কের প্রবল দাবির কাছেই পশ্চিমবঙ্গ স্বীকৃতি পেয়েছিল বলে বিজেপি দাবি করে। শ্যামাপ্রসাদের দাবি ছিল, ভারত ভাগ করলে বাংলাকে ভাগ করে বাংলার হিন্দুপ্রধান অঞ্চলগুলি নিয়ে ‘পশ্চিমবঙ্গ’ সৃষ্টি করতে হবে। যা হবে হিন্দুপ্রধান ভারতের অংশ। এ বিষয়ে প্রচার করার জন্য শ্যামাপ্রসাদ সারা বাংলা চষে বেড়ান এবং কংগ্রেসের সমর্থন পান বলেও দাবি বিজেপির। যার ফলশ্রুতিতে পশ্চিমবঙ্গের জন্ম। এই দিনটি প্রতি বছর নিয়মিত পালন করে বাংলার গেরুয়া শিবির।
এদিকে এর আগে বিধানসভার তরফে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালনের দাবি তুলেছিলেন শুভেন্দু। তবে সে দাবি মানা হয়নি। ২০২১ সালে তিনি যখন বিরোধী দলনেতার দায়িত্ব পান, সে বছর ২০ জুন ছিল রবিবার। বিধানসভা বন্ধ থাকায় তিনি বিজেপির বিধায়কদের নিয়ে বিধানসভার ফটকের সামনে পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করেছিলেন।