৯৮ সাল থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সৈনিক এবং বিদায়ী গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য চণ্ডী ঘোষ এবার সিপিএমের প্রতীকে নির্বাচনে লড়ছেন। দিদির দূত কর্মসূচিতে জনসংযোগ বাড়ানোর সময় তার বাড়িতেই তৃণমূলের বিধায়করা মধ্যাহ্নভোজন করেছিলেন। এলাকার দাপুটে সেই তৃণমূল নেতা নিজের পুরনো আসনেই প্রার্থী হয়েছেন। শালবনী ব্লকের ১০ নম্বর কর্ণগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাবরিগেড়া বুথের সিপিএমের হয়ে লড়ছেন। গত ২৫ বছর ধরে দাপটের সঙ্গে তৃণমূল করা চণ্ডী ঘোষকে এবার টিকিট দেয়নি তৃণমূল। চণ্ডীবাবু বলেন, বিধায়ক জুন মালিয়া দিদির দূত কর্মসূচিতে এসে আমার বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজন করার সময় আশ্বাস দিয়েছিলেন প্রার্থী করার। কিন্তু স্থানীয় ব্লক নেতৃত্ব নতুন একটি ছেলেকে প্রার্থী করে। তাদের এই বেইমানের জন্য সিপিএমের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। জেতার ক্ষেত্রে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত আমি। ২৫ বছর ধরে মানুষ আমার পাশে রয়েছেন।
উন্নয়নের সাক্ষী হিসেবে গ্রামের রাস্তা ও পানীয় জলের সুব্যবস্থা করেছেন। এলাক ার মানুষদের জন্য বিধবা ভাতা, বার্ধক্য ভাতা, কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার করিয়ে দিয়েছেন। এই আমলে উন্নয়ন করার পর সিপিআইএম প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে সংকোচ বোধ হচ্ছে না আপনার? এই প্রশ্নের উত্তরে চণ্ডীবাবু বলেন, সিপিআইএমের আমলেও রেশনের চাল ডাল গম দেওয়া হত। বিভিন্ন ভাতা এবং ঘরবাড়িও পেয়েছে। পঞ্চায়েত হিসেবে আগেও মানুষের কাজ করেছি ভবিষ্যতেও মানুষের কাজ করব। এলাকার অসুস্থ মানুষদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি। আপদে-বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছি। তাই জয়ের ব্যাপারে আমি ১০০ শতাংশ নিশ্চিত। তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা বলেন, দলের বিদায়ী পঞ্চায়েত সদস্যদের অনেককেই টিকিট দেওয়া সম্ভব হয়নি। কেউ কেউ অন্য দলের প্রার্থী হয়ে থাকতেও পারেন।