পুলিশ বাহিনী নিয়ে রাজ্যের আবেদনে সাড়া মিলল তিন রাজ্য থেকে। ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড এবং তামিলনাড়ুর তরফ থেকে জানানো হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যকে বাহিনী দিতে প্রস্তুত। তিন রাজ্যই এই মর্মে নিশ্চিত করেছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। তবে কত সংখ্যক বাহিনী আসবে এই তিন রাজ্য থেকে, তা এখনও পর্যন্ত চূড়ান্ত নয়। যদিও যত সংখ্যক বাহিনী রাজ্য চাইছে এই তিন রাজ্য থেকে, সেই সংখ্যক বাহিনী না দিতে পারলেও কত সংখ্যক বাহিনী তিন রাজ্য থেকে আসবে, তা নিয়ে আলোচনা চলছে।
সূত্রের খবর, রাজ্যের তরফে মূলত ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা থেকে বেশি সংখ্যক বাহিনী চাওয়া হচ্ছে। বাহিনী কত সংখ্যক পাওয়া যাবে, তা নিয়ে তিন রাজ্যের সঙ্গে আলোচনাও চলছে। কারণ, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা থেকে বেশি সংখ্যক বাহিনী চাওয়ার কারণ, তাঁরা সহজেই আসতে পারবেন। আসার পথে কোনও সমস্যার সম্মুখীন হবেন না। সেক্ষেত্রে রাজ্যের খরচও কিছুটা কমবে।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
সূত্রের খবর, শনিবার ছুটির দিন হওয়ায় ই ফাইলিংয়ের মাধ্যমে সপ্রিম কোর্টে আবেদন করে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনে নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে গোটা রাজ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। নির্দেশ কার্যকর করার জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে ৪৮ ঘণ্টা সময় দিয়েছিল হাইকোর্ট।
এদিকে আবার সুপ্রিম কোর্টে ক্যাভিয়েট দাখিল করে রেখেছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং মালদহ দক্ষিণের কংগ্রেস সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী। ফলে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে গেলেও তাঁদের আইনজীবীর বক্তব্য না শুনে কোনও নির্দেশ দেবে না শীর্ষ আদালত।