মনোনয়ন দাখিলের সময় বাড়ানোর জন্য রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী। প্রদেশ সভাপতি অধীর চৌধুরী বৃহস্পতিবার রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহাকে যে চিঠি দেন তাতে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানান, ‘বাধার মুখে অনেকেই মনোনয়ন দিতে পারেননি। ইতিমধ্যেই মনোনয়ন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার কমিশনের হাতেই ন্যস্ত করেছে হাইকোর্ট। গণতন্ত্রের স্বার্থে মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন ১৫ জুন থেকে বাড়িয়ে ১৬ জুন করার আবেদন জানাচ্ছি। একইসঙ্গে মনোনয়ন জমা দেওয়ার সময়সীমা বেলা ৩টে থেকে বাড়িয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত করার আবেদনও জানান অধীররঞ্জন। সঙ্গে তাঁর সংযোজন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে আমার বিশ্বাস আপনি সদর্থক ভূমিকাই নেবেন।’
এখানে একটা কথা না বললেই নয়, এর আগে পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দু’টি মামলা দায়ের হয়। একটি মামলা করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। অন্যটি দায়ের করেছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা বহরমপুরের কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তখনই আর্জি জানানো হয়েছিল,মনোনয়ন দাখিলের সময়সীমা বাড়ানোর। তবে সে আবেদন খারিজ হয়ে যায় আদালতে।
বুধবার সেই মামলার রায়দান পর্বে হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, রাজ্য নির্বাচন কমিশনের উপর কোনও হস্তক্ষেপ তারা করছে না। কমিশনের বিজ্ঞপ্তি বহাল রাখছে আদালত। ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছিল, নির্বাচন কমিশন যেহেতু স্বতন্ত্র একটি সংস্থা, তাই মনোনয়ন নিয়ে যাবতীয় সিদ্ধান্ত তারাই নেবে। অর্থাৎ মনোনয়নের সময় বাড়ানো হবে কি না তা কমিশনই ঠিক করবে বলে জানায় আদালত।
অন্যদিকে আদালতের এই রায়দানের পর মনোনয়নের সময়সীমা বাড়ানো হবে কি না তা নিয়ে মঙ্গলবার রাতেও রাজ্যে নির্বাচন কমিশন অফিস ছেড়ে বাড়ির পথে যাওয়ার সময় রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা জানিয়েছিলেন, এরকম কোনও সিদ্ধান্ত তাঁরা এখনও নেননি। তবে এই মনোনয়ন পর্ব নিয়ে এর আগে রাজীব সিনহাকে একটি ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে শোনা যায়। বলেছিলেন, ‘মনে হয় সময় বাড়াতে হবে।’