পুজোর আগেই বাজারে বন্ড নিয়ে আসছে কলকাতা পুরসভা

পুজোর আগেই কলকাতা পুরসভার বাজারে নিয়ে আসছে বন্ড। নাম ‘কলকাতা মিউনিসিপাল কর্পোরেশন বন্ড।‘ সূত্রে যা খবর মিলছে তাতে উন্নয়নের অর্থ বাজার থেকে তুলতে এই বন্ড ছাড়তে চলেছে কলকাতা পুরসভা। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেই চলবে এই বন্ড বাজারে ছাড়ার প্রক্রিয়া। তিন ধাপে ৩৫০ কোটি টাকার বন্ড ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে কলকাতা পুরসভার। নূন্যতম হাজার টাকায় মিলবে কলকাতা পুরসভার এই নয়া বন্ড। একন শুধু রাজ্যের অর্থ দপ্তরের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় কলকাতা পুরসভা। কারণ, এদিকে আবার কলকাতা পুরসভা এই ধরনের বন্ড বাজারে ছাড়তে গেলে রাজ্য সরকারের অনুমতিরও প্রয়োজন। এই অনুমতি চেয়ে ইতিমধ্যে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের কাছে দু’টি প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে একটি হল বন্ড বাজারে নিয়ে আসা সংক্রান্ত এবং অপরটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সংস্থার নিয়োগ সম্পর্কিত। এদিকে রাজ্য সরকারের অর্থ দপ্তর কয়েকটি বিষয়ে ব্যাখ্যাও চেয়েছে। এর পাশাপাশি অর্থ দপ্তরের তরফ থেকেও কিছু বিষয়ে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে বলে সূত্রে খবর। গত ১০ বছরে পুরসভার আয়ের খতিয়ান, আগামী ১০ বছরে আয়বৃদ্ধির পরিকল্পনা, কীভাবে এই বন্ডের রিটার্ন দেওয়া হবে তাও জানানো হয়েছে কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে। কলকাতা পুরসভা প্রাথমিক আলোচনা সেরে নিলেও এখন রাজ্য সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায়।
এদিকে সূত্রে যা খবর, আলোচনা যেভাবে এগোচ্ছে তাতে পুজোর আগেই এই বন্ড বাজারে ছাড়া হতে পারে। প্রথম ধাপেবন্ড বাজারে ছাড়ার পর কেমন সাড়া মেলে তার উপর নির্ভর করে আরও ধাপে ধাপে মোট ১০৫০ কোটি টাকার বন্ড বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা রয়েছে কলকাতা পুরসভার। তবে আরও একটা ফ্যাক্টর এর সঙ্গে জড়িয়ে। তা হল আন্তর্জাতিক বাজারের পরিস্থিতি।
কলকাতা পুরসভা কর্তৃপক্ষের যেহেতু এমন কোনও অভিজ্ঞতা নেই, তাই দেশের অন্যতম বড় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সঙ্গে গাটছড়া বেঁধে এগোতে চাইছে কলকাতা পুরসভার অর্থ বিভাগ। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের ‘ক্যাপিটাল মার্কেট’ শাখাকে উপদেষ্টা হিসেবে নিযুক্ত করার আলোচনাও হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে। এই আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বন্ড ঘোষণা থেকে শুরু করে টাকা তোলা, গ্রাহকের রিটার্ন সবটাই দেখভাল করবে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এখানে বলে রাখা শ্রেয়, কোভিডের সময় থেকেই কলকাতা পুরসভার ভাঁড়ে মা ভবানী অবস্থা। সম্পত্তি করের অনেকটাই বাকি পড়ে আছে বাজারে। অন্য সমস্ত করে জোর দিলেও আয় তেমন বাড়েনি কলকাতা পুরসভার। তাই এবার উন্নয়নের অর্থ জোগাড়ে এবার বাজার থেকে টাকা তুলতে চাইছে কলকাতা পুরসভা। এই প্রসঙ্গে অর্থনৈতিক বাজার বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই ধরনের বন্ড বাজারে ছাড়তে গেলে ক্রেডিট রেটিংয়ের প্রয়োজন হয়। তাই কলকাতা সহ রাজ্যের ছ’টি পুরসভার ক্রেডিট রেটিং করানো হয়েছে। চলতি বছর এপ্রিল মাসে ক্রেডিট রেটিং এজেন্সি অর্থাৎ ক্রিসিল রিপোর্ট দিয়েছে। তাতে কলকাতা পুরসভার অবস্থান বেশ ভাল। ১ থেকে ২০ পর্যন্ত র‌্যাঙ্কিংয়ে কলকাতার অবস্থান চারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

15 − eight =