বুধবার তৃণমূলের তরফ থেকে জমা পড়ল ৪০ হাজারের কাছাকাছি মনোনয়ন। মনোনয়নের শুরুর প্রথমদিকে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের থেকে অনেক এগিয়ে ছিল বিরোধীরা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের রিপোর্ট বলছে, মনোনয়নের প্রথম দিন সবথেকে বেশি মনোনয়ন জমা দেয় বিজেপি। দ্বিতীয় স্থানে ছিল সিপিএম। তৃণমূলে ৯ জুন জমা দেয় মাত্র ১৯৬টি মনোনয়ন। কিন্তু মনোনয়ন জমা দেওয়ার এক দিন বাকি থাকতে সবাইকে চমকে দিয়ে এগিয়ে গেল ঘাসফুল শিবির। মনোনয়ন জমায় একলপ্তে সবাইকে পিছনে ফেলল তৃণমূল কংগ্রেস। অর্থাৎ তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের কথাই সত্যি বলে প্রমাণিত হল। ‘শেষবেলায় বাজিমাত’ করল গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত তৃণমূল।
বুধবার রাতে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুসারে, বুধবার পর্যন্ত গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদ মিলিয়ে মোট মনোনয়ন জমা পড়েছে ১ লক্ষ ৬২ হাজার ৬৫৫টি। এর মধ্যে গ্রাম পঞ্চায়েতে ১ লক্ষ ৩৭ হাজার ২৫টি, পঞ্চায়েত সমিতিতে ২২ হাজার ৬৪৮টি এবং জেলা পরিষদে ২ হাজার ৯৮২টি মনোনয়ন জমা পড়েছে। ত্রিস্তরীয় নির্বাচনে বিজেপি-র মোট মনোনয়ন জমা পড়েছে ৪৩ হাজার ৩০৮টি। বামেরা মোট ৩৮ হাজার ৩৯ মনোনয়ন জমা করেছে। শীর্ষে থাকা তৃণমূলের মনোনয়ন সংখ্যা ৪৯ হাজার ৪৯১। এর মধ্যে বুধবারই শাসক দলের ৪০ হাজার ১৬৩ মনোনয়ন জমা পড়েছে। অর্থাৎ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বিজেপি, বামেদের থেকে অনেক পিছনে থেকেও এক দিনে সবাইকে পিছনে ফেলেছে ঘাসফুল শিবির।
যদিও তৃণমূলের এই মনোনয়ন রেকর্ডে অবাক নয় রাজনৈতিক মহল। শেষ ল্যাপে এসে শাসকদল যে একটা বড় খেলা খেলবে তা আন্দাজ করেছিলেন বিশ্লেষকরা। প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করতেই জেলায় জেলায় তৃণূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও প্রার্থী সংক্রান্ত বিক্ষোভের ছবি সামনে এলেও এই সব অভিযোগ উড়িয়ে মনোনয়নের বিষয়ে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ আগেই, বলেছিলেন, মনোনয়ন জমার ক্ষেত্রে তৃণমূল শেষে দিনেই সব দলকে ছাড়িয়ে যাবে। নির্বাচন কমিশনের তথ্য সেই কথাই বলছে। বিরোধীদের টপকাতে মনোনয়নের অন্তিম দিন অবধি অপেক্ষা করতে হল না তৃণমূলকে।