বাড়ির গাছের আম ভাগে কম পাওয়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে বৃদ্ধা মায়ের কান কাটার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় আক্রান্ত বৃদ্ধার অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্তকে ছেলে ঝন্টু মাহাতোকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে পুরাতন মালদা থানার সাহাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোরগ্রাম এলাকায়। আক্রান্ত বৃদ্ধা চিকিৎসাধীন পুরাতন মালদার মোলপুর গ্রামীণ হাসপাতালে ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত বৃদ্ধার নাম কুন্তী মাহাতো (৬৫)। ওই বৃদ্ধার চার মেয়ে ও দুই ছেলে রয়েছে। মেয়ে ও ছেলেদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ওই বৃদ্ধার স্বামী অর্জুন মাহাতো। তিনি বার্ধক্যজনিত কারণে কোনও রকম কাজ করতে পারেন না। ওই বৃদ্ধার নামে কিছু সম্পত্তি এবং আম বাগান রয়েছে। তাতেই কিছু উপার্জন করে সংসার চালান তাঁরা। তাছাড়াও আম বাগানের সঠিকভাবে এই বয়সে আর দেখাশোনা করতে পারেন না। তাই টাকার বিনিময়ে অন্য এক ব্যক্তিকে কিছু আম গাছ দেখাশোনা করতে দিয়েছেন এবং একটি আম গাছ রয়েছে তা পরিবারে খাওয়ার জন্য রেখে দিয়েছেন।
আক্রান্ত বৃদ্ধার স্বামী অর্জুন মাহাতো জানিয়েছেন, পরিবারের সকল সদস্যদের খাওয়ার জন্য একটি আমগাছ বাড়ির পাশেই নিজেরাই দেখভাল করে আসছি। এদিন গাছের আম পাড়া নিয়ে মেজো ছেলে ঝন্টু মাহাতোর সঙ্গে বচসা শুরু হয়। তাকে ভাগে নাকি দুই কিলো আম কম দেওয়া হয়েছে বলে ঝগড়া শুরু করে ছেলে ঝন্টু মাহাতো। এরপরই উত্তেজিত হয়ে বাড়িতে রাখা হাঁসুয়া দিয়ে অতর্কিতে বৃদ্ধা মায়ের উপর হামলা চালায়। তার বাম কানে সজোরে আঘাত করলেই রক্তাক্ত অবস্থায় জ্ঞান হারিয়ে ফেলে কুন্তি মাহাতো। এই ঘটনার পরই ওই বৃদ্ধার দম্পতির আর্ত চিৎকারে লোকজন ছুটে আসে। তখনই অভিযুক্ত বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এরপরই পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ঝন্টু মাহাতোকে গ্রেপ্তার করে।
মৌলপুর গ্রামীণ হাসপাতালের কর্তব্যরত এক চিকিৎসক জানিয়েছেন, ওই বৃদ্ধার বাম কানের অনেকটা অংশই কাটা পড়ে গিয়েছে অস্ত্র প্রচারের মাধ্যমে কানের চামড়া জোড়া লাগানো হয়েছে।
পুরাতন মালদা থানার পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি পুরো বিষয়টি নিয়ে তদন্ত শুরু করা হয়েছে।