মৃত ব্যক্তির নামে রেশন তুলে খোলা বাজারে বিক্রির ঘটনায় জেলাশাসককে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির

নদিয়ার গয়েশপুরে মৃত গ্রাহকদের নামে থাকা কার্ডে রেশ তুলছিলেন খোদ রেশন ডিলার! বছর কয়েক আগে এমনই অভিযোগ সামনে আসে।এদিকে এই সব ঘটনাই নাকি জানতেন জেলাশাসক। ফলে প্রশ্ন ওঠে, সব জেনেশুনেও জেলাশাসক কেন চুপ করেছিলেন তা নিয়ে। এবার সেই মামলাতেই জেলাশাসককে ভর্ৎসনা করতে দেখা গেল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে। মৃতের কার্ডে রেশন তুলে কী করে তা বাজারে বিক্রি করা হয়, তা নিয়ে বুধবার বিস্ময় প্রকাশ করতেও দেখা যায় বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমকে। একইসঙ্গে প্রধান বিচারপতি এদিন আদালতে প্রধান বিচারপতি রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘মৃতের কার্ডে রেশন তুলে কী করে বাজারে বিক্রি করে। এটা সামাজিক অপরাধ। সে ৭৩ বা ৩১, কার্ডের সংখ্যা যাই হোক না কেন।’ আর এই প্রসঙ্গেই প্রধান বিচারপতির মত, শুধুমাত্র সাসপেন্ড করা কোনও শাস্তি নয়। কেন আর কোনও পদক্ষেপ করা হল না তা নিয়েও এদিন প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। পাশাপাশি তিনি এও বলেন, ‘এটা সামাজিক অপরাধ।’ একইসঙ্গে আগামী শুক্রবার ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথি আদালতে পেশ করার নির্দেশ দেয় প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ।
এদিকে মৃতদের নামে রেশন তোলার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয় রেশন ডিলারকে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় মূল অভিযোগ ছিল, আমিরুল ইসলাম মণ্ডল নামে এক রেশন ডিলারের বিরুদ্ধে। তিনি এলাকার মৃত ৭৩ জন বাসিন্দার কার্ড ব্যবহার করে রেশনের দ্রব্য তুলে খোলা বাজারে বিক্রি করতেন। এদিকে সব জেনেও পদক্ষেপ না করার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন জেলাশাসকের বিরুদ্ধে। সে কারণে ২০২০ সালে তাঁকে হাজিরাও দিতে হয়েছিল আদালতে। এরপর জেলাশাসক পদ থেকে সাসপেন্ড করা হয় তাঁকে। এরপরই এই মামলায় প্রশ্ন তোলা হয়, কেন মাত্র ৪২ হাজার টাকা জরিমানা নিয়ে ওই ব্যক্তি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল তা নিয়েও। এরপরই হাইকোর্টের নির্দেশ, প্রয়োজনে তৎকালীন জেলাশাসকের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়ের করে পদক্ষেপ করতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 4 =